সম্পাদকীয়
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩, ০৮:৪৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ
ঐতিহাসিক ১৭ মে’র ডাক আজ ১৭ মে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশের মাটিতে ফেরেন। ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বিদেশে অবস্থান করার কারণে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ১৫ আগস্টের ঘটনার পর দিশাহীন বিভক্ত আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক হয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্বভার কাঁধে নিয়ে দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এই দীর্ঘ ৪২ বছরের পথচলায় নিজ আলোয় আলোকিত যাত্রার জয়রথ ছুটিয়ে বিশ্বসভায় আজ তিনি বাংলাদেশের শেখ হাসিনা। দেশে ফিরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ছয়টি বছর আমরা বিদেশের মাটিতে ছিলাম। ১৯৮১ সালে বাবার হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমার অনুপস্থিতিতে দলের সভানেত্রী নির্বাচিত করে। সেই সময় অনেক বাধা। মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতায়। আমাদের কিছুতেই দেশে আসতে দেবে না। আমি অনেক সংগ্রাম করে দেশে ফিরে আসি জনগণের সমর্থন নিয়ে। আর তখন থেকে আমার একটাই লক্ষ্য ছিল, এ বাংলাদেশকে ঠিক যেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন, মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণ করতে চেয়েছিলেন—সেভাবেই আমি গড়ে তুলব।’ ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকার তৎকালীন কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান শেখ হাসিনা। ওইদিন বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শেখ হাসিনাকে একনজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর এলাকাজুড়ে লাখো জনতার ঢল নেমেছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জনতার স্রোত ছুটে এসেছিল বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দেখতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হারিয়ে দিশাহারা আওয়ামী লীগ পেয়েছিল আলোর দিশা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন দিনের আগমনী বার্তা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে জনতার কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে, বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা শুরু করে নানামুখী নীলনকশা। বাঙালি জাতির জীবনে নেমে আসে কালো অমানিশা। এমনই এক ক্রান্তিকালে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বঙ্গবন্ধুকন্যা ছয় বছরের নির্বাসন শেষে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বাংলার মানুষের হারিয়ে যাওয়া অধিকার পুনরুদ্ধার করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বারবার সামরিক স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করেছেন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর ৪২ বছরের রাজনৈতিক পথচলায় বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বাংলাদেশ আজকে সারা বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে চিহ্নিত মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ সম্পাদন এবং রায় কার্যকর করা হয় তার সরকারের আমলে। আমাদের প্রত্যাশা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে আরও অনেকদূর।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ডেমরার ডিএনডি খালে পড়ে থাকে কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপত্তি নেই যুক্তরাজ্যের

সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

আলভারেজের দাম বেঁধে দিল ম্যানসিটি

জোট বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রাশিয়া-চীনের যুদ্ধবিমানের হানা

প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে, সিদ্ধান্ত রোববার

পাঁচ পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়

মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানা যাবে কাল

শিশু আহাদের দাফন দিয়ে বাড়িতে শুরু পারিবারিক কবরস্থানের

প্যারিসে বেরসিক বৃষ্টিতে ভিজল বিশ্ব নেতারা

১০

শেখ হাসিনার অর্জন ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা : ওবায়দুল কাদের

১১

ইরানের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন বাইডেন

১২

ইহুদিদের পছন্দ করেন না কমলা, বললেন ট্রাম্প

১৩

ন্যাটোর আদলে সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব ইসরায়েলের

১৪

যানজট সরিয়ে ভোগান্তি দূর করেন নবরু

১৫

বর্ষায় জমে উঠেছে চাক জালের হাট

১৬

ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

১৭

সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

১৮

ঝালকাঠিতে গভীর নলকূপে পানির সংকট

১৯

ব্যাট-বলে সাকিবকে শরীফুলের টেক্কা

২০
X