তোশাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআইর চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তারে ফের তার জামান পার্কের বাড়ি ঘেরাও করেছে পুলিশ। তবে সমর্থকদের বাধার মুখে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাড়িতে ঢুকতে পারেনি তারা। পুলিশ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে পিটিআই কর্মীদের সঙ্গে কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়। খবর দ্য ডন ও জিও নিউজের।
খবরে বলা হয়, বাড়ির সামনে থেকে সমর্থকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে; কিন্তু তা সত্ত্বেও তারা ইমরানের বাড়ির সামনে থেকে সরেনি। এমন অবস্থায় পিটিআই চেয়ারম্যান সব কর্মী-সমর্থককে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
গতকাল মঙ্গলবার এক ভিডিওবার্তায় তিনি বলেন, তারা ভাবছে আমি গ্রেপ্তার হলে জাতি ঘুমিয়ে পড়বে। তাদের ভুল প্রমাণ করবেন আপনারা। আমার যদি কিছু হয় এবং আমাকে জেলে পাঠানো হয় বা আমাকে হত্যা করা হয়, তবে বুঝিয়ে দিতে হবে, আপনারা ইমরান খানকে ছাড়াই সংগ্রাম করবেন এবং এই চোরদের দাসত্ব মেনে নেবেন না।
তোশাখানা মামলায় আদালতের জারি করা পরোয়ানার ভিত্তিতে গতকাল ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে যায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে চলমান চারটি মামলার মধ্যে কেবল এই একটিতেই পরোয়ানা বাতিল হয়নি। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য গত সোমবার থেকে ইসলামাবাদ পুলিশের একটি দল লাহোরে রয়েছে। তার গ্রেপ্তার ঠেকাতে বাড়ি ঘিরে রেখেছে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক। পুলিশের ছোড়া টিয়ার গ্যাসের ক্যানন বাড়ির ভেতরে গিয়ে পড়েছে। পুলিশ বর্তমানে তার বাড়ি থেকে ৯০ মিটার দূরে রয়েছে।
পিটিআই নেতা শাহ মাহমুদ কোরেশি প্রথমে বলেছিলেন, তাদের নেতা জামান পার্কের বাড়িতে রয়েছেন। তবে পরে জানান, তিনি সেখানে নেই। পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, ইমরান খানের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইসলামাবাদ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। ইমরানের গ্রেপ্তারি আটকাতে তিনিও পিটিআই সমর্থকদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
ইসলামাবাদ পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক সৈয়দ শাহজাদ নাদিম ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কেবল আদালতের নির্দেশ পালন করতে এসেছি; কিন্তু পিটিআইর কর্মী-সমর্থকরা সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে এই সংঘাত শুরু করেছে। তাদের হামলায় ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কয়েক জন পুলিশ সদস্য আহতও হয়েছেন। যদি ইমরান খান আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করেন এবং আমাদের সহযোগিতা করেন, তাহলে ভালো; কিন্তু তা যদি না হয়, আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো।
এদিকে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) নেতা মরিয়ম নওয়াজ বলেছেন, কোনো পুলিশ আহত বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার জন্য দায়ী হবেন ইমরান খান।