ইলিশ রক্ষা ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আন্তঃদেশীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন আইনপ্রণেতাসহ বিশেষজ্ঞরা। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ আয়োজিত ‘উপকূলের ইলিশ ও জেলে’ বিষয়ক জাতীয় সংলাপে তারা এ সুপরিশ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুই দেশে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের সীমান্তে এসে ইলিশ শিকার করে নিয়ে যায়। এতে ইলিশের উৎপাদন কমে যাচ্ছে। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কয়লা ও শিল্পকারখানার বিষাক্ত বর্জ্য নদীতে পড়ে দূষণের ফলে ইলিশের স্বাভাবিক বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আর জলদস্যুসহ নানা হয়রানির কারণে জেলেরা মৎস্য আহরণের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
বাপার সভাপতি সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সংলাপ সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। আলোচনায় অংশ নেন সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা ও আক্তারুজ্জামান বাবু, মৎস্য অধিদপ্তরের উপপ্রধান মাসুদ আরা মমি, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ অধ্যাপক ড. আব্দুল ওহাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গুলশান আরা লতিফা, মৎস্য গবেষক ড. সৈয়দ আলী আজহার, খুলনার পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মন্টু, সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, বাপা মোংলার আহ্বায়ক নুর আলম শেখসহ জেলে, আড়তদার ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ আলী।