কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মওলানা ভাসানীর একাত্মতা

মওলানা ভাসানীর একাত্মতা
অগ্নিঝরা মার্চের নবম দিন আজ। একাত্তরের এই দিনে সারা দেশ ছিল উত্তাল। গোটা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ তখন চূড়ান্ত মুহূর্তের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। তার ঘোষিত আন্দোলনের কর্মসূচি অনুযায়ী সচিবালয়সহ সারা দেশে সব সরকারি ও আধাসরকারি অফিস, হাইকোর্ট ও জেলা আদালতসহ সবখানে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়। বঙ্গবন্ধু যেসব সরকারি অফিস খুলে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুধু সেসব অফিস চালু থাকে। আওয়ামী লীগপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ন্যাপপ্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মধ্যে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় এদিন। ঢাকার ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানে এক বিশাল জনসভায় বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্তের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেন ভাসানী। বিকেলে পল্টন ময়দানের ওই জনসভায় তুমুল করতালির মধ্যে তিনি বলেন, ‘ইয়াহিয়া সাহেব, অনেক হয়েছে, আর নয়। তিক্ততা বাড়িয়ে লাভ নেই। তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার নিয়মে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতা মেনে নাও।’ ভাসানী সেদিন বলেন, ‘শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশমতো আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে কোনো কিছু না করা হলে আমি মুজিবের সঙ্গে মিলে ১৯৫২ সালের মতো তুমুল আন্দোলন শুরু করব।’ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশেই তখন পুরো পূর্ব পাকিস্তান পরিচালিত হচ্ছিল। তার নির্দেশ মেনেই ঢাকা হাইকোর্টের কোনো বিচারক ‘বাংলার কসাই’ আখ্যা পাওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল টিক্কা খানকে গভর্নর হিসেবে শপথ পড়াতে অস্বীকার করেন। এর আগে ৬ মার্চ গভীর রাতে ইসলামাবাদ টিক্কা খানকে ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক শাসক নিয়োগ করে। এ নিয়োগ ৭ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়েছে বলে ঘোষণা করা হয়। ওইদিন তিনি ঢাকায় আসেন। ৯ মার্চ তার গভর্নর হিসেবে কার্যভার গ্রহণের কথা ছিল। সেদিন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পূর্ব পাকিস্তান সফরের ঘোষণা আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের এক জরুরি সভায় ছাত্রলীগ ও ডাকসুর নেতৃত্বে গঠিত ‘স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংগ্রাম পরিষদ’-এর ছাত্রসভায় গৃহীত ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ছাত্রলীগ শেখ মুজিবের প্রতি অবিলম্বে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানায়। সকালে পাকিস্তান এয়ারলাইনসের (পিআইএ) বাঙালি কর্মচারীরা তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অন্যদিকে সামরিক কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে রাজশাহী শহরে আট ঘণ্টার কারফিউ জারি করে। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সেনাবাহিনীকে ছাউনিতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ঘোষণা দেওয়ার পর রাজশাহীতে হঠাৎ সান্ধ্য আইন জারির কারণ বোধগম্য নয়। এ সান্ধ্য আইন জারি জনসাধারণের জন্য উসকানি ছাড়া আর কিছু নয়। বিবৃতিতে অবিলম্বে কারফিউ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। চট্টগ্রামে অবাঙালিরা রেলওয়ে কলোনি এবং এ কে খান রোডে সংঘর্ষে জড়ায় দুপুরের দিকে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ পাস

বৈশাখের বরুণ ফুটেছে অগ্রহায়ণে, বিলাচ্ছে মুগ্ধতা

সাগরে আরেকটি লঘুচাপ, কমবে তাপমাত্রা

অন্যদের কাছে সম্মান পেতে যা করা জরুরি

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড শিখবে কবে?

মেট্রোরেল কার্ডের অনলাইন রিচার্জের উদ্বোধন 

পঞ্চগড়ে ২ হাজার বস্তা সার জব্দ

উয়েফার বিরুদ্ধে সুপার লিগের ‘হাজার কোটি টাকার’ মামলা শুরু

দিবা-রাত্রির টেস্টের আগে অজি শিবিরে সুখবর

কমনওয়েলথ দাবা প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের সাফল্য

১০

যেভাবে মুহূর্তেই জানবেন ছবি আসল নাকি এআই দিয়ে তৈরি

১১

বলিউডের ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ ধর্মেন্দ্র

১২

ভালো নির্বাচনের জন্য সবার সহযোগিতা লাগবে : সিইসি

১৩

‘ওয়ানডে ছেড়ে কোহলির টেস্ট খেলাই চালিয়ে যাওয়া উচিত ছিল’

১৪

জানা গেল বিশ্বকাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের তারিখ

১৫

বাউল আবুল সরকারের কঠোর শাস্তি চাইলেন রাশেদ খাঁন

১৬

ভিটামিন ডি পাওয়ার সেরা সময় সকালে নাকি বিকেলে

১৭

বিপিএলে অন্তর্ভুক্ত হলো নতুন দল ‘নোয়াখালী এক্সপ্রেস’

১৮

নলডাঙ্গায় ছড়িয়ে পড়ছে জাল টাকা

১৯

ইথিওপিয়ায় ১২ হাজার বছর পর নিষ্ক্রিয় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

২০
X