মো. আব্দুল আহাদ
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ১১:৫১ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নোবিপ্রবির পরতে পরতে

নোবিপ্রবির পরতে পরতে
শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় ও মুখর শান্তিনিকেতন। আছে কয়েকটি টং দোকানও। গাছপালায় ঘেরা জায়গাটি শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়ার তালিকায় আছে ১ নম্বরে। শান্তিনিকেতনের গানের আড্ডা বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা বলে মনে করেন শিক্ষার্থী আহম্মদ উল্যাহ। তার মতে, স্মৃতির পাতা নাড়া দিলে প্রথমদিকেই উঠে আসবে শান্তিনিকেতনের আড্ডাগুলো। ময়নার দ্বীপ শান্তিনিকেতনের পাশেই ক্যাম্পাসের পশ্চিম-উত্তরের জলাশয়টি সবার কাছে ময়নার দ্বীপ নামে পরিচিত। বর্ষায় পানিতে পূর্ণ থাকে। জায়গাটিতে দেখা যায় নানা ধরনের পাখি। বিশেষ করে শীতে এখানে অতিথি পাখিও আসে। ওই সময় বদলে যায় ময়নার দ্বীপের চেহারা। প্রকৃতিপ্রেমীরা এখানে নিরিবিলি গল্প করার ফাঁকে চুপচাপ বইও পড়েন। বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অপু দাসের মতে শীতের ভোরে ময়নার দ্বীপের পাশে বসে চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার অভিজ্ঞতা এক কথায় অতুলনীয়। নীলদীঘি নীল আকাশটা যেন পড়ে গেছে লাইব্রেরি ভবনের পেছনে থাকা বিশাল দীঘির কোলে। নীলদীঘির চারপাশে ইট-সিমেন্টের তৈরি ৩০টি বেঞ্চ এবং উত্তর ও দক্ষিণে আছে দুটি ঘাট। দীঘির চারপাশ জুড়ে চলে আড্ডা। ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্সের শিক্ষার্থী নুসরাতের মতে, গ্রীষ্মের প্রচণ্ড বাতাসে নীলদীঘির পাড়ে আড্ডা দেওয়ার সময়গুলোর কথা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষেও ভুলতে পারবে না। মনসরণি ব্যাকলগ বনের মধ্যে মাচা বানিয়ে তৈরি করা স্থানটিই মনসরণি। নীরব এ জায়গায় বসে আড্ডা দিতে কার না ভালো লাগবে। ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমসের শিক্ষার্থী মো. রেজাউল করিম তারেক বলেন, এই স্থানে শেষ বিকেলে আর সন্ধ্যায় বন্ধুদের নিয়ে বসে গানের আসর জমানোয় যে কী তৃপ্তি তা বলে বোঝানোর মতো নয়। ছুটি থাকলে তো কথাই নেই। রাতেও আড্ডা চলে। প্রশান্তি পার্ক অডিটোরিয়াম ভবনের পাশে প্রশান্তি পার্কে মিলবে শীতল ছায়া। গাছের ছায়ায় বসে শিক্ষার্থীরা গল্প করেন, মাঝে মাঝে জমিয়ে তোলেন গানের আসর। ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার জানান, যখনই সময় পাই প্রশান্তি পার্কে আসি। আমাদের আড্ডার অন্যতম স্থান এটি। গোলচত্বর ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকলেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে চোখে পড়ে গোলচত্বর। শেষ বিকেলে দল বেঁধে শিক্ষার্থীরা এখানে আলাপচারিতায় মেতে ওঠেন। কেউ আবার লাল-নীল বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকেন এখানেই। ‘দিনের ক্লান্তি ভুলে যখন এই স্থানে বন্ধুদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মেতে উঠি তখন মনে হয় শরীরে প্রাণ ফিরে পাই।’ বলছিলেন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী মুকতার এলাহি। বটতলা সালাম হলের সামনে ছোট একটি বটগাছ। এর সামনের দু-চারটি বেঞ্চ আছে। এ জায়গাটিও সবার পরিচিত। মূলত সন্ধ্যা ও রাতের আড্ডা জমে এখানে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ কর্মকর্তাকে রদবদল

নির্বাচনে প্রার্থীর যে তথ্য প্রকাশ বাধ্যতামূলক

সৌদি আরবের নতুন গ্র্যান্ড মুফতি হলেন যিনি

মুক্তি প্রতীক্ষায় ‘মাস্তি ফোর’

পাঠাওয়ের ১০ বছর উদযাপন আরও বড় হলো পার্টনার অফারের সঙ্গে

ভারতকে হারিয়ে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি

সিভাসুতে ১৭তম আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক সম্মেলন শুরু রোববার

সাড়ে ৬ মাস পর ইউরিয়া উৎপাদনে ফিরছে সিইউএফএল

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সুযোগ বন্ধ, ফিরল ‘না ভোট’

১০

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে মানিকগঞ্জে মতবিনিময় সভা 

১১

দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্টারলিংক সেবা চালু চবি ক্যাম্পাসে

১২

জাতীয় নির্বাচন / ভোটে দাঁড়াতে গুনতে হবে আড়াই গুণ বেশি জামানত

১৩

১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর  / ছাত্রলীগ নেতাকে বহন করা প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ, ফাঁসি দাবি

১৪

বিশাল জয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিল বাংলাদেশ

১৫

৮ দিন পর খুলল প্যাসিফিক জিন্সের ৮ কারখানা

১৬

দেশ গড়তে শুধু নেতা নয়, নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে : মাসুদ সাঈদী

১৭

ফের বাবা হচ্ছেন রাম চরণ

১৮

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আইজিপির সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১৯

বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে আমাকে ৭০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল : হাবিব

২০
X