বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সাড়ে সাতশ কোটি টাকা পাচ্ছে না সামিট পাওয়ার

সাড়ে সাতশ কোটি টাকা পাচ্ছে না সামিট পাওয়ার
বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) কাছে পাওনা দাবি করা প্রায় সাড়ে সাতশ কোটি টাকা আর পাচ্ছে না বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। ওই পাওনা পরিশোধ করতে হাইকোর্ট এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আরইবির পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। আদালতে সামিট পাওয়ারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনুদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। আরইবির পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাব্বি রানা প্রমুখ। পরে ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাব্বি রানা কালবেলাকে বলেন, একই জায়গায় তিনটি পাওয়ার প্লান্ট হয় ২০০০ সালে। ২০০৪-২০০৫ সালে আরেকটি নতুন রাজনৈতিক সরকার আসে। সে সময় সামিট পাওয়ারের সঙ্গে আরইবি চুক্তি করে বিদ্যুতের একটা দাম নির্ধারণ করে। যেটা পৃথিবীর কোনো দেশেই যৌক্তিক না। চুক্তিতে সরকার ভর্তুকি যে অনুযায়ী দেয়, সে অনুযায়ী সামিটের সঙ্গে দাম ঠিক করা হয়। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কেন সামিটকে ভর্তুকি দেবে? আরইবি পিডিবি থেকে যে মূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় করে, সামিটের সঙ্গে চুক্তিতে আরইবিকে সেই মূল্য দিতে বলা হয়েছে। সেজন্যেই ওই চুক্তি অনুযায়ী দাম দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে সরকার ২০১১ সালে বিদ্যুতের একটা দাম নির্ধারণ করে দেয়। জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে আরইবিকে বলে দিয়েছে চুক্তি মূল্য অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যেটা নতুন করে নির্ধারণ করা হলো, সে অনুযায়ী দাম পরিশোধ করেন। এরপর আরইবি চুক্তিমূল্যের বাইরে গিয়ে সরকার নির্ধারিত দাম পরিশোধ করতে থাকে। এক পর্যায়ে চুক্তি মূল্য অনুযায়ী যে পাওনা তা আদায়ের জন্য সামিট পাওয়ার বিইআরসিতে ২০১৩ সালে আবেদন করে। বিইআরসির ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে রায় দিয়ে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সামিট পাওয়াকে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর বিইআরসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আরইবি হাইকোর্টে রিট করে। ২০১৭ সালে হাইকোর্ট বিইআরসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আরইবি আপিল বিভাগে আপিল করে। গতকাল বৃহস্পতিবার আরইবির করা পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট ও বিইআরসির রায় বাতিল করেন। এর ফলে আরইবিকে চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে হবে না। ২০১১ সালে সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে অনুযায়ী সামিট পাওয়ারকে দাম পরিশোধ করবে আরইবি। এ রায়ের ফলে সামিটের দাবিকৃত প্রায় সাড়ে সাতশ কোটি টাকা আরইবিকে আর দিতে হচ্ছে না।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বয়কটের হুমকি দিয়েও না করার কারণ জানালেন পিসিবি প্রধান

কর্মচারী দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা পরিচালনার অভিযোগ

শাহীন ঝড়ে বাঁচা-মরার ম্যাচে লড়াকু সংগ্রহ পাকিস্তানের

‘গোলাপী খালার’ পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান

পরাজিত শক্তির সঙ্গে আঁতাতের রাজনীতি মঙ্গলজনক হবে না: নীরব

চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সমালোচনার কারণ কী?

রাকসু নির্বাচন / ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ ৭ দফা দাবি ছাত্রশিবিরের

দীর্ঘ ৬ বছর পর বুটেক্সে ক্যারিয়ার ফেয়ার অনুষ্ঠিত

ফ্যাসিবাদের মতো তামাকও দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে : ফরিদা আখতার

ছাত্র সংসদ আর জাতীয় নির্বাচন এক নয় : টুকু

১০

বৃহস্পতিবার থেকে ৫ দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে ৭ দল

১১

কনটেইনারে ছিদ্র, তেল নিতে কাড়াকাড়ি

১২

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক 

১৩

পিআর পদ্ধতি চাই না : দুদু

১৪

শ্রমিক দল নেতাকে আজীবন বহিষ্কার

১৫

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের দাবি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত : আসক

১৬

৬ বছরের শিশুকে আছাড় মেরে ‘হত্যা’

১৭

আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনা নিয়ে টিআইবির প্রশ্ন

১৮

চাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে রাফির প্রতিক্রিয়া

১৯

বিস্কুট-পানীয় বিতরণের অভিযোগ গকসুর জিএস প্রার্থীর বিরুদ্ধে 

২০
X