সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) কাছে পাওনা দাবি করা প্রায় সাড়ে সাতশ কোটি টাকা আর পাচ্ছে না বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদন কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। ওই পাওনা পরিশোধ করতে হাইকোর্ট এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সিদ্ধান্ত বাতিল করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আরইবির পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে সামিট পাওয়ারের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকনুদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার তানজীব-উল-আলম ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। আরইবির পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাব্বি রানা প্রমুখ।
পরে ব্যারিস্টার রেজা-ই-রাব্বি রানা কালবেলাকে বলেন, একই জায়গায় তিনটি পাওয়ার প্লান্ট হয় ২০০০ সালে। ২০০৪-২০০৫ সালে আরেকটি নতুন রাজনৈতিক সরকার আসে। সে সময় সামিট পাওয়ারের সঙ্গে আরইবি চুক্তি করে বিদ্যুতের একটা দাম নির্ধারণ করে। যেটা পৃথিবীর কোনো দেশেই যৌক্তিক না। চুক্তিতে সরকার ভর্তুকি যে অনুযায়ী দেয়, সে অনুযায়ী সামিটের সঙ্গে দাম ঠিক করা হয়। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, সরকার কেন সামিটকে ভর্তুকি দেবে? আরইবি পিডিবি থেকে যে মূল্যে বিদ্যুৎ ক্রয় করে, সামিটের সঙ্গে চুক্তিতে আরইবিকে সেই মূল্য দিতে বলা হয়েছে। সেজন্যেই ওই চুক্তি অনুযায়ী দাম দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে সরকার ২০১১ সালে বিদ্যুতের একটা দাম নির্ধারণ করে দেয়। জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০১১ সালে আরইবিকে বলে দিয়েছে চুক্তি মূল্য অনুযায়ী বিদ্যুতের দাম দেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। যেটা নতুন করে নির্ধারণ করা হলো, সে অনুযায়ী দাম পরিশোধ করেন। এরপর আরইবি চুক্তিমূল্যের বাইরে গিয়ে সরকার নির্ধারিত দাম পরিশোধ করতে থাকে।
এক পর্যায়ে চুক্তি মূল্য অনুযায়ী যে পাওনা তা আদায়ের জন্য সামিট পাওয়ার বিইআরসিতে ২০১৩ সালে আবেদন করে। বিইআরসির ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালে রায় দিয়ে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী সামিট পাওয়াকে টাকা পরিশোধ করতে হবে। এরপর বিইআরসির সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে আরইবি হাইকোর্টে রিট করে। ২০১৭ সালে হাইকোর্ট বিইআরসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আরইবি আপিল বিভাগে আপিল করে। গতকাল বৃহস্পতিবার আরইবির করা পৃথক তিনটি আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ হাইকোর্ট ও বিইআরসির রায় বাতিল করেন। এর ফলে আরইবিকে চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করতে হবে না। ২০১১ সালে সরকার যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, সে অনুযায়ী সামিট পাওয়ারকে দাম পরিশোধ করবে আরইবি। এ রায়ের ফলে সামিটের দাবিকৃত প্রায় সাড়ে সাতশ কোটি টাকা আরইবিকে আর দিতে হচ্ছে না।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
শ্রীমঙ্গলে কর্মবিরতি করে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
১
থানায় গিয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন মাইকিং করা বড়ভাই
২
দেশের ককপিটে তরুণদের বসাতে চাই : জামায়াত আমির
৩
না বুঝে ভোট দেওয়ার দিন শেষ : নুর
৪
চীনের সেই বিমানবাহী রণতরী প্রস্তুত, ঘুরিয়ে দিতে পারবে কি যুদ্ধের মোড়?
৫
দলের মনোনয়ন আমার কর্ম ও জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধের স্বীকৃতি : কাজী আলাউদ্দিন
৬
জানুয়ারিতেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দেখা যেতে পারে মেসিকে!