সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
দেশের জনসংখ্যায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অনুপাত কেন ধারাবাহিকভাবে কমছে, সে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
দাবিটি তোলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে এই পূর্ব বাংলায় সংখ্যালঘুর হার ছিল ২৯ দশমিক ৭ শতাংশ। ১৯৭০ সালে তা নেমে এলো ১৯ থেকে ২০ ভাগে। কিছুদিন আগে বিবিএসের রিপোর্ট দেখলাম, সেই ১৯ থেকে ২০ ভাগ জনগোষ্ঠী…সেই সংখ্যাটি কমে নেমে এসেছে ৯ দশমিক ১ ভাগে। তারা কেন হারিয়ে যাচ্ছে? কোনো সরকারকে তা নিরূপণ করেতে দেখিনি। কিন্তু কেন হারিয়ে গেছে, তা নিরূপণের জন্য সরকারের উচিত একটা কমিশন গঠন করা। এটা করা প্রয়োজন, বাংলাদেশ যাতে বাংলাদেশ হিসেবেই টিকে থাকতে পারে।’
প্রতিক্রিয়াশীল মহল বিভিন্ন সময় সংখ্যালঘুদের ‘টার্গেট’ করে জানিয়ে রানা দাশগুপ্ত বলেন, তার উদাহরণ আমরা বিভিন্ন সময় দেখে আসছি। আজ আমরা শান্তিতে নেই, স্বস্তিতে নেই। আমাদের সংবিধান এখনো সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত হতে পারেনি। অনেক নেতা আমাদের বলেন, ‘আপনারা নিজেদের সংখ্যালঘু ভাবেন কেন?’ আমরা নিজেদের সংখ্যালঘু মনে করি না। আমরা ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু হতে পারি। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সংখ্যালঘুতে পরিণত হওয়ার জন্য আমরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করিনি। বঙ্গবন্ধুর করা ’৭২-এর সংবিধান সঠিক থাকলেও জিয়াউর রহমান ও এরশাদের ‘প্রেতাত্মা’ থেকে সংবিধান এখনো মুক্ত হতে পারেনি।
কাগজে-কলমে আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ নেই অভিযোগ করে সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের’ অভিযোগ তুলে রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ক্ষমতা গ্রহণের পর তা আর বাস্তবায়িত হয়নি।’
বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুনীল রঞ্জন বিশ্বাস এই আয়োজনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ১০টি দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের প্রণয়ন চাই। সংখ্যালঘু জাতীয় কমিশন চাই। সেই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধ করারও জোর দাবি জানাই।’ আসন্ন বাজেটে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য আনুপাতিক হারে বরাদ্দ চেয়ে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ফাউন্ডেশন গঠনেরও দাবি জানান। সমতল ও পাহাড়ি জাতিগোষ্ঠীর জন্য আলাদা ভূমি কমিশন গঠন, অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন, পার্বত্য শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের দাবিও তুলে ধরেন তিনি।
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের ঘটনায় ‘বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি’ চালু আছে মন্তব্য করে এই আইনজীবী বলেন, ‘সেখানে থেকে বেরিয়ে এসে প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। চাকরিতে ২০ শতাংশ সংরক্ষণ এবং সমঅধিকার ও সমমর্যাদা নিয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে বসবাসের নিশ্চয়তাও দিতে হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ আইনজীবী ঐক্য পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিভাস চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাবেক সভাপতি নিম চন্দ্র ভৌমিক, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নুর দুলাল, আইনজীবী প্রশান্ত অ্যালবার্ট বাড়ৈ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
দুদকের মামলায় এস কে সুরের বিচার শুরু
১
কর্মীদের রেখে আমি কোথাও যাব না : যুবদল নেতা
২
র্যাবের সাবেক ডিজি হারুন পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
৩
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
৪
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নেতাকর্মীরা
৫
‘নতুন বল, টাক করে লেগেছে, সঙ্গে সঙ্গে দাঁত পড়ে গেছে’