কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ০৩:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

কী আঁকল মিতু?

কী আঁকল মিতু?
জামাল হোসেন মিতু যাচ্ছিল স্কুলে। আজ দেরি করে ফেলেছে। সবাই আগে আগে। সে পেছনে। কেন পেছনে? কারণ মিতুর একটা পা নেই। ক্রাচে ভর করে হাঁটে। এ জন্য তার স্কুলে যেতে একটু দেরিই হয়। মিতুর কাঁধে স্কুলব্যাগ। ব্যাগের গায়ে দারুণ একটা পাখির ছবি। ছবিটা মিতু নিজেই এঁকেছে। সে অনেক সুন্দর ছবি আঁকে। কিছুদূর যেতেই একটা ছায়াঘেরা রাস্তা। আশপাশে কেউ নেই। মিতু গুনগুন করে ছড়া বলতে বলতে হেঁটে যায়। হঠাৎ মিতু চমকে উঠে বলল, এটা কী? ওমা কত্ত বড় একটা পাখি! আরে! এটা তো আমার আঁকা সেই পাখিটা! কিন্তু এ পাখিটার নাম তো সে জানে না। পাখিটা এমন করছে কেন? মিতু এগিয়ে গেল পাখির কাছে। মিতুকে দেখে পাখিটা খুব খুশি হলো মনে হচ্ছে। ডানা ঝাপটে দু-তিনবার ডিগবাজিও খেল। তারপর মানুষের মতো করে বলল, ‘ওহ তুমিই তো আমার ছবিটা এঁকেছ। আমি তোমাকেই খুঁজছিলাম। আমি অনেক দূরের পাখিরাজ্য থেকে এসেছি। মিতু বলল, বাহ, কী মজা। পাখির রাজ্যে পাখিরাই থাকে? পাখিটা বলল, তোমার আঁকা ছবিটা আমার খুব ভালো লেগেছে। তাই তোমার জন্য উপহার এনেছি। এই নাও। এই বলে পাখিটা মিতুকে একটা সাদা কাগজ দিল। মিতু বলল, কিন্তু একটা কাগজ দিয়ে আমি কী করব? পাখিটা বলল, এটা জাদুর কাগজ। এখানে যা আঁকবে সেটাই চলে আসবে। তবে একবারই শুধু আঁকতে পারবে। এ বলেই উড়ে গেল পাখিটা। মিতু এগিয়ে গেল সামনে। কী দেখল? দেখল তার বন্ধুরা সবাই খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে। গত রাতে অনেক ঝড় হয়েছিল। খালের পাশে যে সাঁকোটা ছিল সেটা ভেঙে গেছে। এ কারণে সবাই দাঁড়িয়ে আছে। কেউ স্কুলে যেতে পারছে না। এমন সময় মিতুর মাথায় একটা বুদ্ধি এলো। সে বের করল তার জাদুর খাতা। কিন্তু একটা মাত্র কাগজ। সে তো চাইলে এ কাগজে অনেক ধনরত্ন আর বড় প্রাসাদও আঁকতে পারে। কিন্তু কেন যেন মিতুর ওসব আঁকতে ইচ্ছে করল না। সে ঠিক করল এতে এমন কিছু আঁকবে, যাতে সবার উপকার হবে। এরপর মিতু ছবি আঁকতে শুরু করল। সবাই গোল হয়ে দেখছে, কী আঁকছে মিতু। একটা লাঠি, দুটো লাঠি। তারপর অনেকগুলো দড়ি, খুঁটি। কত কী যে বসাচ্ছে মিতু। পেনসিল দিয়ে ঘষে ঘষে কোথাও দিল ছায়া আর কোথাও আলো। শেষে আঁকতে আঁকতে হয়ে গেল একটা সেতু। দেখেই মনে হয় অনেক মজবুত আর শক্ত সেতু। তারপর কী ঘটল? তারপর, সবাই সামনে তাকিয়ে দেখে খালের ওপর একটা সেতু হয়ে গেল। মিতু যেমনটা এঁকেছে ঠিক সেরকম। সবাই ঘটনাটা জানল। এরপর সবার এক প্রশ্ন, মিতু নিজের জন্য কিছু না এঁকে এমন একটা সেতু আঁকল কেন? মিতু বলল, সে সবার কথা ভেবেই সেতুটা এঁকেছে। এরপর সবাই সেতু পার হলো। পরদিন থেকে মিতুকে আর কেউ একা ফেলে যায় না। সবার সঙ্গেই স্কুলে যায় সে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জবির ভর্তি পরীক্ষা : আঞ্চলিক কেন্দ্রে নৈর্ব্যক্তিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা

চট্টগ্রামে মোড়ে মোড়ে বিএনপির অবস্থান

হাসপাতালে হাসান মাসুদ, দুই সপ্তাহ ধরে চলছে চিকিৎসা

অস্ত্রসহ আ.লীগের তিন নেতা গ্রেপ্তার

১৫ নভেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত সম্মেলন, অংশ নিচ্ছেন বিশ্বের ১২ খ্যাতনামা আলেম

৪৯তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রথম পঞ্চগড়ের আবু তালেব

উসকানি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা : চিফ প্রসিকিউটর

ছাত্রলীগের ছয় কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ

আ.লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন 

হাসিনার রায়ের তারিখ ঘোষণায় চিফ প্রসিকিউটরের প্রতিক্রিয়া

১০

ভারতের কাছে স্বর্ণের লড়াই হেরে গেল বাংলাদেশ

১১

মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ফ্রান্সের নতুন রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

১২

প্রাণহানি রোধে মেহেরপুরে সুইমিংপুলের উদ্বোধন

১৩

ধানের শীষের প্রার্থিতা দাবি করা সেই রিয়াজুল হাসপাতালে ভর্তি

১৪

পেরুতে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৩৭

১৫

সাংবাদিককে নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ নেইমারের

১৬

যশোরে বাসে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন বস্তিবাসী

১৭

ফেনীতে গাছ কেটে রেলপথে নাশকতার চেষ্টা

১৮

ক্যাটরিনার সঙ্গে সম্পর্ক চাঙ্গা রাখার ‘ফর্মুলা’ জানালেন ভিকি

১৯

১১ বছর পর ‘মন বোঝে না’ মুক্তি নিয়ে তমার ক্ষোভ

২০
X