সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি ইকবাল হোসেনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ মো. নাজিমুদ্দৌলা এ দণ্ডাদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডিত ইকবাল হোসেন শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইসমাইল হোসেন জানান, ২০১৬ সালের ৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহের শৈলকুপা শহরের কবিরপুর নতুন ব্রিজপাড়ায় আগুনে পুড়িয়ে ভাতিজা সাফিন ওরফে শিবলু (৯), আমিন (৭) ও ভাগ্নে মাহিনকে (১২) হত্যা করে ইকবাল হোসেন। শিশু আমিন ও সাফিন শৈলকুপার স্কুলশিক্ষক দেলোয়ার হোসেন দিপুর ছেলে। অন্য শিশু মাহিন আসামির বোন জেসমিন ও শৈলকুপার মনোহরপুর গ্রামের রাশেদ দম্পত্তির ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ও জমিজমা নিয়ে ভাই দেলোয়ার ও পিতা গোলাম নবীর সঙ্গে বিবাদ সৃষ্টি হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনের। এ ঘটনায় প্রথমে তার বোন জেসমিন, ভাগ্নে মাহিন ও ভাইয়ের দুই সন্তান সাফিন ও আমিনকে হাতুড়িপেটা করে খাটের সঙ্গে বেঁধে ফেলে। এরপর আগুন ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনায় সাফিন ও আমিন ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ হন বোন জেসমিন ও ভাগ্নে মাহিন। অগ্নিদগ্ধ মাহিন ঘটনার দিন রাত ৯টায় হাসপাতালে মারা যান। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর ইকবালকে গণপিটুনি দিয়ে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় সাফিন ও আমিনের বাবা দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ইকবালকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
পিবিপ্রবিতে প্রথমবারের মতো মৌসুমি ফল উৎসব
১
সাড়ে ৭ টাকার ইনজেকশন ৩৫০ টাকা
২
এক ভোটের ব্যবধানে পাস ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল বিল’, কী আছে এতে?
৩
তাজিয়া মিছিলে যেসব জিনিস বহন নিষিদ্ধ
৪
খুব শিগগিরই দেশে ফেরার আশা তারেক রহমানের
৫
গুলি থামলেই যুদ্ধ থেমে যায় না, চলতে থাকে কোষে কোষে
৬
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মাঝে প্রেমাদাসায় ‘অতিথি’ সাপ