বেলেন ফার্নান্দেজ
১৬ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাইডেনের অভিবাসন নিষেধাজ্ঞার ফাঁদে অভিবাসীরা

তেত্রিশ বছরের জেসুস ভেনেজুয়েলার ফ্যালকন রাজ্যের একজন বাসিন্দা। গত বছর নভেম্বরে জেসুস তার স্ত্রী এবং দুই বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে ডারিয়েন গ্যাপে ১০ দিন পার করেছিলেন। ডারিয়েন গ্যাপ হচ্ছে কলম্বিয়া এবং পানামার মধ্যবর্তী একটি জঙ্গল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রায় হাজার কিলোমিটার উত্তরের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানো। তবে তারা সৌভাগ্যবান। কারণ, এ স্থান থেকে খুব বেশি মানুষ বেঁচে ফেরে না। প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার লোকের মধ্যে জেসুস এবং তার পরিবার ২০২২ সালের এ যাত্রা থেকে বেঁচে যায়।

সম্প্রতি পানামার ডারিয়েন প্রদেশের মেটেটি শহরে জেসুসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। দেখতে পেলাম জেসুস তার পরিবার নিয়ে আমেরিকায় অভিবাসনের প্রচেষ্টায় টাকা জোগাড়ের চেষ্টা করছেন। সেখানে তার কাজ ছিল গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণ করা।

জেসুস বলেন, ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দেওয়ার সময় তিনি একটি খাড়া পাহাড়ের পাদদেশে গড়িয়ে পড়ে গিয়েছিলেন। নিজের পতন ঠেকানোর জন্য তখন জেসুস একটি গাছের শিকড় জড়িয়ে ধরেন; কিন্তু আদতে সেটি ছিল একজন মৃত মানুষের হাত। প্রথমে বিরক্ত হলেও জেসুস মনে মনে বলেন যে, এ মৃত মানুষের হাতটি তার জীবন বাঁচিয়ে দিয়েছে।

তবে এ ব্যাপারটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। তিনি ক্রমাগতভাবে আশ্রয়প্রার্থীদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বর্তমানে আন্তর্জাতিক এবং মার্কিন আইন লঙ্ঘন করছেন। আশ্রয় দেওয়ার যে ধারণা, মূলত তিনি সেটিকেই ভেঙে ফেলার জন্য প্রাণান্তকর পরিশ্রম করছেন।

এ বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি বাইডেন প্রশাসন একটি পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনাটি ছিল টাইটেল ৪২ নামে। এর লক্ষ্য ছিল মে মাসে নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দক্ষিণ মার্কিন সীমান্তে আশ্রয়প্রার্থীদের আগমনী উত্থান ঠেকানোর এক মহাপরিকল্পনা। এ পরিকল্পনাটি মূলত ডোনাল্ড ট্রাম্প শাসনামলের একটি নীতি, যা করোনাভাইরাস মহামারিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়প্রার্থীদের আশ্রয়ের আবেদন করার অনুমতি দেয়নি। বরং আশ্রয়প্রার্থীদের নানাভাবে বহিষ্কার করেছে।

বাইডেনের এ নতুন নিয়ম আর ট্রাম্পের ‘ট্রানজিট নিষেধাজ্ঞা’ মোটামুটি একই রকম; কিন্তু ফেডারেল আদালতে এ নীতিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল, কারণ যারা এ দেশে অভিবাসিত হতে চায়, এ নীতির কারণে তারা আশ্রয় পাবে না। একই সঙ্গে যে দেশের ভেতর দিয়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছবে, সেখানেও তারা কোনো ধরনের সুরক্ষা পাবে না। আবার এ নিয়মটির সঙ্গে আরেকটি বিধান যুক্ত হয়েছে। এখানে ‘আশ্রয় প্রাপ্তির অযোগ্যতার অনুমান’ বলে একটি বিধান রয়েছে; কিন্তু এ বিধান সবসময়ই ‘খণ্ডনযোগ্য’ এবং কিছু ‘নির্দিষ্ট ব্যতিক্রম’ও আছে। এর মানে অনেকটা এরকম যে, আপনার যদি হাঙর মাছের সঙ্গে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে আপনি এখানে আশ্রয়ের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন। আশ্রয় পাবেন কি না, সেটি অবশ্য পরের বিষয়।

সুনিশ্চিতভাবে বলতে গেলে বলা যায়, শরণার্থী অনেককেই বিভিন্ন দেশ যেমন—আফগানিস্তান, বাংলাদেশ বা বুরকিনা ফাসোর মতো দেশ থেকে ভ্রমণ করার পর ডারিয়েন গ্যাপ অতিক্রম করতে হবে। আবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে অন্য কোনো দেশে তাদের নিরাপত্তা খোঁজার দাবি করাটাও অনেকটাই অযৌক্তিক এবং বর্বরতাও বটে।

হন্ডুরাস বা এল সালভাদরের মতো দেশে কোনো শরণার্থী সুরক্ষা পেতে পারে, তা বিশ্বাস করতে আপনার একটি অতিপ্রাকৃতিক কল্পনাশক্তি থাকা লাগবে। এ দেশগুলো নিজেরাই সর্বাধিক হত্যার রাজধানীর তালিকায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। এ ছাড়া এরা নিজেরাই মূলত বিভিন্ন দেশে আশ্রয়প্রার্থী।

একই সঙ্গে দরিদ্র ও দুর্বলদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ‘বৈধ অভিবাসনের সুযোগ’ আছে বলে দাবি করাটাও সমানভাবে অযৌক্তিক। যদি এই দাবি সত্যি বলে মনে করা হয়, তাহলে আপনি কখনোই দেখতে পাবেন না যে, হাজার হাজার মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডারিয়েন পার হতে যাচ্ছে। জেসুস এবং তার পরিবারের জন্য বৈধ অভিবাসনের কোনো উপায় ছিল না। তাই তারা বিকল্প হিসেবে ডারিয়েন গ্যাপের ভেতর দিয়ে পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল। একইভাবে যে হাতটি তাকে রক্ষা করেছিল, তার মালিকের কাছেও কোনো বিকল্প ছিল না।

আমার সঙ্গে ভেনেজুয়েলার আরেকটি পরিবারের দেখা হয়েছিল। মেটেটিতে হাইওয়ের পাশে ছিল তাদের অবস্থান। তাদের কাছেও কোনো বিকল্প ছিল না। তারা ডারিয়েন গ্যাপে এক বছর বয়সী একটি শিশুকে নিয়ে ১০ দিন অবস্থান করেছিল। এ অবস্থানকালে তারা একটি বিশেষ ঘটনার সম্মুখীন হয়েছিল। তারা দেখতে পায় একজন মা ও দুটি শিশুর মৃতদেহ পড়ে আছে। তাদের পাশেই একজন পুরুষের মৃতদেহ গাছের ডালে ঝুলছিল। সম্ভবত হতভাগ্য পুরুষ মানুষটি ছিলেন এ পরিবারের কর্তা। হয়তোবা তিনি পারিবারিক দুর্দশা সইতে না পেরে বা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছতে না পেরে হতাশায় আত্মহত্যা করেন। এ হৃদয়বিদারক দৃশ্যটি তাদের ভীষণভাবে নাড়া দেয়।

সেই পরিবারটি আমাকে বলেছিল যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছতে চায়। ভেনেজুয়েলায় তাদের জীবন আশানুরূপ ছিল না। তাই তারা আমার কাছে আরও জানতে চায়, যুক্তরাষ্ট্রে তারা কোথায় কৃষিকাজ করে বেঁচে থাকতে পারে। সব পথ তারা হেঁটে যাচ্ছিল। কারণ তাদের ছিল টাকাপয়সার ঘাটতি। অবৈধ অভিবাসীদের সীমান্ত পর্যন্ত নিয়ে যেতে পানামার সরকারি বাসে ভাড়া দিতে হয় ৪০ ডলার; কিন্তু তাদের কাছে সে পরিমাণ ডলার ছিল না। আবার যাত্রীদের সেই বাস কোস্টারিকার সীমান্তে নামিয়ে দিচ্ছিল। আসলে এটি এক ধরনের চাঁদাবাজি। আবার অনেক সময় বাস আরোহীদের জীবনও হুমকির মুখে থাকে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এ ধরনের একটি বাস বিধ্বস্ত হয়। সে ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪১-এ।

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসর ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর তামারা গুইলারমোরের সঙ্গেও মেটেটিতে আমার কথা হয়েছে। এ সংস্থাটি অত্র এলাকায় আসা অভিবাসীদের প্রাথমিক ও মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। সাম্প্রতিককালে আরও নতুন কিছু অভিযোগ শোনা যাচ্ছে, যেমন—আগত অভিবাসীরা পানামা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে যৌন ও অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।

তার মতে, ট্রান্স-ডারিয়েন ট্র্যাজেক্টোরি পার হওয়া একজন অলিম্পিক অ্যাথলেটের জন্যও যথেষ্ট কঠিন; কিন্তু বিপরীতে এখানে অনেক অপ্রস্তুত এবং অনুপযুক্ত মানুষ নিজ দেশের সব বিপর্যয় থেকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছে। তারপর তিনি জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়া ভয়াবহতারও বর্ণনা দেন। সেসব ঘটনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ব্যাপকভাবে নারী ধর্ষণ, অভিবাসীদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ, ডাকাতি থেকে শুরু করে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, গুম ও হত্যা।

গুইলারমো অভিবাসীদের অপরাধী বানিয়ে তোলার ব্যাপক নিন্দা করেন। একটি উন্নত ও উপযুক্ত জীবনযাপনের জন্য তারা অভিবাসী হতে যাচ্ছেন; কিন্তু ডারিয়েন গ্যাপের সেটআপটি এমনই যে, মানুষের মর্যাদাকে প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করে আসছে। এর শিকার এমন সব মানুষ, যারা এরই মধ্যে নিজ ভূমিতে নানাভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। তার মতে, অনেকের জন্য অবস্থা এমন যে, বাড়িতে তাদের জন্য একমাত্র মৃত্যু অপেক্ষা করছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে জো বাইডেনের প্রস্তাবিত অভিবাসন আশ্রয় নিষেধাজ্ঞা এ আশ্রয়প্রার্থীদের সত্যিকার অর্থেই কোনো কাজে আসবে না। তবে এমন নয় যে, যুক্তরাষ্ট্র আশ্রয় বা অভিবাসন—এ জাতীয় ব্যাপারগুলোতে খুব বেশি আগ্রহী ছিল। প্রকৃতপক্ষে অন্যান্য দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে সংকট তৈরি ও ধ্বংস করার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ইতিহাস আছে। আর অভিবাসী সংকটের কারণে অনেকের জন্যই নিজের বাড়ি মৃত্যুফাঁদ বলে বিবেচিত হচ্ছে।

সাংবাদিক জন ওয়াশিংটন তার বই The Dispossessed: A Story of Asylum at the US-Mexican Border and Beyond-এ উল্লেখ করেছেন, মার্কিন সরকারের মতে আপনি তখনই আশ্রয় পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, যদি আপনি কোনো সুনির্দিষ্ট নিপীড়নের শিকার হন। এ নিপীড়ন হতে হবে আপনার জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা কোনো নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠীতে আপনার সদস্য হওয়ার কারণে। কিন্তু যদি দারিদ্র্য আপনাকে অভিবাসী হতে বাধ্য করে বা যদি এ দারিদ্র্য তৈরির পেছনে হাত থাকে স্বয়ং যুক্তরাষ্ট্রের। তার উত্তর আসলে অজানা।

ডারিয়েন অঞ্চলে অবস্থানের সময় আমি টুকেসা নদীর তীরে বাজো চিকুইটোর ছোট্ট একটি আদিবাসী গ্রাম দেখতে গিয়েছিলাম। ডারিয়েন গ্যাপ পার হয়ে এলে এটিই জনসমাগমের প্রথম স্থান। এ গ্রামে প্রবেশের সময় পানামানিয়ান মাইগ্রেশন এবং ন্যাশনাল বর্ডার সার্ভিসের কর্মকর্তারা আমাকে শনাক্ত করতে পারেনি। আর তারা চায় এ গ্রামে যে ক্যাম্প আছে আর সেখানে যে অমানবিক পরিস্থিতি বিরাজমান, তা বহির্বিশ্বের কাছে লুকানোই থাকুক।

সেখানে অবস্থানকালে কলম্বিয়ান এবং ভেনেজুয়েলার তরুণ একটি দলের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল। একটি ছোট নদীর পাশে আগুন জ্বালিয়ে তারা রান্না করার চেষ্টা করছিল। তাদের ভাষ্যমতে, তারা এক মিলিয়ন ডলার দিলেও সেই জঙ্গলে আর ফিরে যাবে না। জঙ্গলের অভ্যন্তরের অবস্থা খুবই শোচনীয়। মৃতদেহের দুর্গন্ধ বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে যে, মানুষ মরণশীল। তবে তারা অনেকদূর চলে এসেছে। এখন ফেরার আর কোনো রাস্তা নেই।

আমি যখন তাদের সঙ্গে কথা বলছিলাম, তখন হাইতি, ইকুয়েডর এবং অন্যান্য দেশের শরণার্থীদের তিনটি লম্বা নৌকায় করে আনা হচ্ছিল। এটি আসলে ‘বৈধ অভিবাসনের পথ’ খোঁজার প্রথম ধাপ। তাই এটি তাদের জন্য অন্য অনেক বড় একটি ব্যাপার।

এবং ডারিয়েন মূলত জীবিত ব্যক্তিদের বেঁচে থাকার জন্য একটি কবরস্থান হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই সহজেই বলা যায়, বাইডেন মূলত একটি ভুল পথে হাঁটছেন।

লেখক : আলজাজিরার কলামিস্ট। নিবন্ধনটি আলজাজিরা থেকে অনুবাদ করেছেন তৌহিদা জান্নাত

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি শুরু

অবরোধ সফলে বনানীতে শ্রাবণের নেতৃত্বে মশাল মিছিল

বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২৩ / জীবনের উৎস মাটি ও পানিকে অবজ্ঞা ধরিত্রীর ঝুঁকি বাড়াচ্ছে

আছে ভবন, নেই কার্যক্রম

মানিকগঞ্জে গণধর্ষণের শিকার ২ নারী, গ্রেপ্তার ৭

শাহজাহান ওমরের অনুসারীদের আ.লীগে যোগদান

মিরপুর টেস্টে নতুন ভূমিকায় দেখা যাবে তামিমকে

মাল্টা পার্লামেন্টের সামনে বিএনপির বিক্ষোভ 

প্রাইম ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

আ.লীগ সরকার গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী 

১০

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত ১৬ হাজার ছুঁইছুঁই

১১

সর্বোচ্চ করদাতা কণ্ঠশিল্পী তাহসান-রুবেল-মমতাজ

১২

সাগরের তলদেশে পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল পরিবহন শুরু

১৩

অবরোধ সফলে বরিশালে বিএনপির মশাল মিছিল

১৪

থার্টি ফার্স্টে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান নয় : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

১৫

স্ত্রীর চেয়ে স্বর্ণ বেশি জাপার মাসুদ চৌধুরীর

১৬

ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন অনন্ত জলিল

১৭

সুনামগঞ্জে বিএনপির মশাল মিছিল  

১৮

যুদ্ধের মধ্যে নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার বিচার পুনরায় শুরু

১৯

ক্রীড়াঙ্গনে সেরা করদাতার তালিকায় সাকিব তামিম রিয়াদ

২০
X