সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
দুটি বহুতল ভবন নিয়ে একটি অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ফটক দিয়ে ঢোকার পর ছোট তবে গোছানো ক্যাম্পাস চোখে পড়বে। ভবন দুটির পাশে ফাঁকা জায়গায় কিছু শিক্ষার্থীকে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায়। আর এটাকেই বলা যায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আড্ডা।
প্রাণিবিজ্ঞান অনুষদের মো. জাহিদুর ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় নতুন হওয়ায় ভর্তির সময় পরিচিত অনেকে আপত্তি তুলেছিলেন। আমিও একটু ভয় পাচ্ছিলাম। তবে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তো আর একদিনে তৈরি হয় না। অনেক অনেক ব্যাচ বের হয় একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তবে আর যাই হোক, প্রথম ব্যাচের ছাত্র হতে পারাটা গর্বের। এ চিন্তা থেকেই ভর্তি হই। সেই হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম হবে কি হবে না সেটা তো আমাদের ওপরই নির্ভর করছে। আমি তো বলব, আমাদের নাম খুব তাড়াতাড়ি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও জানবে।’
পাশ থেকে কৃষি অনুষদের শেখ সোনিয়া মির্জা বললেন, ‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হলেও আমরা কিন্তু নিজেদের স্মার্ট ক্যাম্পাস হিসেবে দাবি করতে পারি। কারণ আমাদের ক্লাস হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড এলিইডি স্মার্ট বোর্ডে। অস্থায়ী ক্যাম্পাস হলেও এটি বেশ পরিপাটি। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই স্থায়ী ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হবে। ওটার কাজ শেষ হলে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অন্যতম নান্দনিক একটি ক্যাম্পাস হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের মো. সাখাওয়াত হোসেন সিজান বলে, ‘নতুন ক্যাম্পাস হিসেবে আমরা তো আর সব আশা করতে পারি না। বিশেষ করে আবাসন ব্যবস্থা, যাতায়াত সুবিধাসহ বা ল্যাব ঠিকঠাক না-ও থাকতে পারে। তবে যতটুকু পেয়েছি একটা নতুন ক্যাম্পাস হিসেবে তা যথেষ্ট। আমাদের কম্পিউটার ল্যাব বেশ উন্নতমানের। শিক্ষকদের কথা বললে বলতেই হবে তারা কতটা আন্তরিক। আমরা সদ্য কলেজ পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছি। আগে ধারণা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মনে হয় কাটখোট্টা ও গম্ভীর হবেন। এসে দেখছি তার উল্টো। তারা বেশ আন্তরিক। আমাদের ভিসি স্যারও আমাদের ব্যাপারে খুব হেল্পফুল। স্যারের সঙ্গে যতবারই কথা হয়েছে, আন্তরিকতার সঙ্গে আমাদের কথা শুনেছেন এবং সমাধানের ব্যবস্থা করেছেন।’
মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আরেক শিক্ষার্থী উম্মে নূরজান নিশো বলেন, ‘একদম নতুন একটি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে ওঠায় কিছু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বটে। তবে আমাদের একাডেমিক বিষয়ের বাইরের সমস্যার জন্যও আমরা শিক্ষকদের শরণাপন্ন হতে পারছি। তারা সব আন্তরিকতার সঙ্গে সমাধান করছেন। তবে এই ফাঁকে ভিসি স্যারের কাছে আমরা শিগগিরই একটি ক্যান্টিন স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি।’
একঝাঁক তরুণ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে যাই। উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবদুল বাসেত বলেন, ‘আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে অস্থায়ী ভিত্তিতে দুটি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট তৈরি করেছি। শিক্ষার্থীদের জন্য অ্যাপ তৈরি করেছি। যে অ্যাপে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সব কাজ পেপারলেস করতে পারবেন। সেমিস্টার ফি পরিশোধ, ফরম পূরণসহ একাডেমিক সব কাজ অ্যাপে করা যাবে। ইন্টারেকটিভ ডিসপ্লে স্থাপনের মাধ্যমে স্মার্ট শ্রেণিকক্ষ তৈরি করেছি যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্য অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনস্টিটিউট অব প্রিসিশন এগ্রিকালচার স্থাপনের অনুমোদন হয়েছে।’
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
একযোগে পদত্যাগ করলেন ভিসি, ডিন ও বিভাগীয় প্রধানরা
১
ঝিলাম নদীর পানি ছেড়ে দিল ভারত, পাকিস্তানের কাশ্মীরে বন্যা