সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় অতিদরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (এফএফপি) আওতায় নিম্নমানের ও পোকাযুক্ত চাল বিতরণের অভিযোগ তুলেছেন সুবিধাভোগীরা। উপজেলায় ৪১ ডিলারের মাধ্যমে ২০ হাজার ৫৩৯ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে এই কর্মসূচির আওতায় এ চাল বিক্রি করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিনের পুরোনো, পচা, ইটের টুকরো মেশানো, দুর্গন্ধ ও পোকাযুক্ত নিম্নমানের চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এসব চাল ডিমলা উপজেলা খাদ্যগুদাম সরবরাহ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলাররা।
টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মো. ফরহাদ হোসেন, খবির উদ্দিন, আবুল কালামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, আগে ১০ টাকা কেজি দরে চাল নিয়েছে। সেগুলো অনেক ভালো ছিল; কিন্তু ১৫ টাকা কেজি নিচ্ছে তবুও পুরোনো, পচা, দুর্গন্ধ ও পোকাযুক্ত চাল দেওয়া হচ্ছে। ডিলারকে বলেছি। তিনি জানিয়েছেন তার কিছু করার নেই। যে চাল আসে, তিনি সেই চালই বিক্রি করেন।
দক্ষিণ খড়িবাড়ী গ্রামে রাশিদা বেগম বলেন, ‘মুই গরিব মানসি। হামার শেখের বেটি হাসিনা মাই অল্প টাকাত চাউল দিছে। সেই চাউলের ভাত খাবারে পাওনা। চাউলে পোকা, পচা, গোন্ধ আইসে। মানসি গিলার এত্তি (ডিলারের কাছে) আসনুং। ওমা তো ফিরি দেইল।’
এ ছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডিলার পয়েন্টগুলোয় ভালো চালের আশায় তারা প্রতিবাদ করে আসছেন; কিন্তু বিষয়টি নজরে নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর পচা চাল ফেরত দিতে ক্রেতারা গেলে উল্টো ডিলারের অসদাচরণের শিকার হচ্ছেন সুবিধাভোগীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ডিলার জানান, খাদ্যগুদাম থেকে আমাদের বিক্রয় পয়েন্টে যে চাল সরবরাহ করা হচ্ছে, বেশির ভাগেই পোকা, ভাঙা ও ছত্রাকযুক্ত। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি; কিন্তু তাতেও প্রতিকার পাচ্ছি না।
উপজেলা খাদ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-এলএসডি) কাজল রেখা বলেন, গোডাউন থেকে যে চাল সরবরাহ করা হয়েছে, সে চালে কোনো পোকা ছিল না। পরে পোকা আসতে পারে। আর খাদ্যদ্রব্যে পোকা আসবে এটিই স্বাভাবিক। তার কিছু পরেই তিনি বলেন, দু-একটা বস্তায় পোকা থাকতে পারে।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল হক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এলএসডির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেব।
নীলফামারী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) হারুন-অর-রশিদ বলেন, নিম্নমানের চালের ব্যাপারে কোনো উপকারভোগী বা ডিলার কিছুই জানাননি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এবং এলএসডির সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
মেহেদির রং না শুকাতেই নববধূ ইলমা বিধবা
১
আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রাথমিকের শিক্ষক নেতাকে শোকজ
২
ভেজাল গুড় খেলেই হতে পারে যেসব জটিল রোগ
৩
শ্রীলঙ্কায় বন্যা ও ভূমিধসে মৃত্যু ৪১০, নিখোঁজ ৩৩৬
৪
বেগম জিয়ার অসুস্থতা হাসিনার কারণেই : রিজভী
৫
সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে পুশইন বিএসএফের
৬
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট হবে উৎসবমুখর : প্রধান উপদেষ্টা
৭
পর্তুগালের জালে এক হালি গোল দিয়েও মন ভরেনি ব্রাজিলের
৮
দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’
৯
সাংবাদিকদের হুমকি দেওয়া যুবশক্তির ২ নেতাকে অব্যাহতি
১০
‘আমি আর কত ক্ষতিগ্রস্ত হবো?’—প্রশ্ন বিজয়ের
১১
ক্লান্ত ও দুর্বল লাগলে যে ৫ খাবার বাড়াবে আয়রন ও হিমোগ্লোবিন
১২
কুড়িগ্রামে জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা ১২.৩ ডিগ্রি
১৩
গুমের মামলায় ট্রাইব্যুনালে হাজির ১০ সেনা কর্মকর্তা
১৪
হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখতে ইংল্যান্ডের ডা. রিচার্ড বিলি
১৫
সেনাবাহিনীর অভিযানে দেশীয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ১১ সদস্য আটক
১৬
ত্রুটিপূর্ণ নীতিমালা ও অপরিকল্পিত নগরায়ণ : আতঙ্কিত ঢাকার গল্প