সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
প্রার্থী না হওয়ার বিষয়ে অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠে এক জনসমাবেশে তিনি এ ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে নিজের কর্মীদেরও ভোট বর্জনের আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী হয়ে বিএনপির রাজনীতি শুরু করি। জীবন থাকতে এই দলের ক্ষতি হয়, এমন কোনো
সিদ্ধান্ত নেব না। অনেকেই আমাকে উকিল আব্দুস সাত্তার বানানোর চেষ্টা করেছেন; কিন্তু আমি সেই সুযোগ কাউকে দিতে চাই না। এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। বিশেষ করে ইভিএম নিয়ে নগরের মানুষজন জানে না। এটা ভোট কারচুপির মহা আয়োজন। অতীতে আপনারা আমার পাশে ছিলেন। আমি কারাগারে থাকা অবস্থায় আপনারা আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। আমি সেসব কথা ভুলতে পারি না।
দুবারের এই মেয়র বলেন, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে আমার দল বিএনপি অংশ নেবে না। আমি এই সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।
নগরবাসীর উদ্দেশে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের ভাই। আমি মেয়র না থাকলেও আপনাদের পাশে সবসময় থাকব। আমাকে আপনারা ক্ষমা করুন।
এর আগে তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ বাসা কুমারপাড়া থেকে পায়ে হেঁটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে পৌঁছান। পরে মাজার জিয়ারত শেষে নেতাকর্মীদের নিয়ে রেজিস্ট্রারি মাঠে এসে মঞ্চে ওঠেন। এ সময় রেজিস্ট্রারি মাঠে দলীয় নেতাকর্মীদের ভিড় লক্ষ করা যায়। রেজিস্ট্রারি মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয় নেতাকর্মীদের পদচারণায়।
বিএনপি নির্বাচনে না গেলেও প্রায় দুই মাস ধরে আরিফ তার প্রার্থিতার বিষয়টি ঝুলিয়ে রেখেছিলেন। ফলে সিটি নির্বাচন ঘিরে তাকে নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনা ছিল, তার অবসান তিনি নিজেই করলেন।
এ ছাড়া গত কয়েক দিন ধরে মেয়র আরিফ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন ও দলের সিদ্ধান্তের কথা ভেবে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়ে আসছিলেন। যদিও গত শুক্রবার ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দপুর জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের উদ্দেশে তার দেওয়া বক্তব্যে মেয়র আরিফ নতুন করে সিলেটবাসীর পাশে থাকার কথা বলেন। আরিফ বলেন, ‘আমি সবসময় সিলেটের জনগণের পাশে ছিলাম এবং আছি। যে অবস্থানেই থাকি না কেন, প্রিয় সিলেটের জনগণের পাশেই থাকব।’
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিষয়ে সংকেত রয়েছে এবং তা দু-চার দিনের মধ্যে জানাবেন বলে জানিয়েছিলেন আরিফুল হক। যুক্তরাজ্যে সফরকালে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে ওই সংকেত পান। সংকেতটি রেড, না গ্রিন; অর্থাৎ নির্বাচন করবেন কি না, তার ব্যাখ্যা দিতে এক মাস সময় চেয়ে নেন। ফলে আজ (শনিবার) দুপুরে রেজিস্ট্রারি মাঠের নাগরিক সমাবেশে আরিফুল কী ঘোষণা দেন, তারই প্রতীক্ষা করছিলেন প্রার্থী, ভোটার ও সাধারণ মানুষ।
আরিফুল হক চৌধুরী বিগত দশ বছর মেয়র থাকাকালে নানাভাবে অলোচনায় এসেছেন। বিরোধী দলের মেয়র হওয়া সত্ত্বেও তিনি সিলেট ১ আসনের সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল কালাম আবদুল মোমেনের আনুকূল্য পেয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি বিতর্কিতও হয়েছেন। অবশেষে সিসিক নির্বাচনে আবার প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণার মধ্য দিয়ে তার জনপ্রতিনিধিত্বের আপতত অবসান হলো।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
মা-বাবা ও স্ত্রীর নামে কসম করলে কী হয়? জানালেন বিশেষজ্ঞ আলেম
১
৭ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি
২
ঢাকা-৮ আসনে সাদিক কায়েমের প্রার্থিতার খবরে যা বলছেন হাদি
৩
নির্বাচন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে ফেলা যাবে না : সাইফুল হক
৪
মৃত আত্মীয়কে দেখে ফেরার পথে সড়কে লাশ হলেন শাশুড়ি-পুত্রবধূ
৫
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ড. ওবায়দুল ইসলামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল
৬
খালেদা জিয়ার আরোগ্য লাভের অপেক্ষায় কোটি জনতা : অপর্ণা রায়
৭
ঢাকায় রুশ গণ-কূটনীতির শতবর্ষ উদযাপন
৮
ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসলামী শক্তি ঐক্যবদ্ধ : মুফতি মোস্তফা কামাল
৯
দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্দুকধারীদের নির্বিচার গুলি, শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত