নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা ‘গর্হিত কাজ’ : প্রধানমন্ত্রী
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা ‘গর্হিত কাজ’ : প্রধানমন্ত্রী
খাদ্যে ভেজাল, মজুতদারি, কালোবাজারি এবং নিত্যপণ্যের সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সামনে রমজান মাস। এ সময় আমাদের কিছু ব্যবসায়ী জিনিসের দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। কারণ রমজান মাস কৃচ্ছ্রসাধনের সময় এবং মানুষ যাতে ভালোভাবে তাদের ধর্মকর্ম এবং রোজা যথাযথভাবে পালন করতে পারে, সেদিকেই সবার দৃষ্টি দেওয়া উচিত। সে সময় এসব মুনাফালোভীর জিনিসের দাম বাড়ানো আর মানুষকে বিপদে ফেলার কোনো মানে হয় না।
গতকাল বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী তৃতীয় ধাপে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মসজিদের ইমাম ও খাদেমদের জুমার নামাজের খুতবায় কালোবাজারি বা মজুতদারি বা খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করতে আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অযথা মানুষকে কষ্ট দেওয়া যে গর্হিত কাজ, সে ব্যাপারে আপনাদের বলা উচিত। খুতবাতেও এটা বলতে পারেন বা মানুষকে সচেতন করতে পারেন। তাহলে মানুষের মধ্যে অতিরিক্ত মুনাফা নেওয়ার প্রবণতা নিশ্চয়ই কমবে। নিম্ন আয়ের মানুষের ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সরকার পারিবারিক কার্ডের ব্যবস্থা করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা অধিক দামে চাল ক্রয় করে ৩০ টাকা মূল্যে বিভিন্ন পরিবারকে দিচ্ছি। রমজানকে সামনে রেখে আরও ১ কোটি মানুষকে ১৫ টাকা কেজি দরে আমরা চাল সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছি এবং একেবারে কর্মক্ষমতাহীনদের বিনা পয়সায় ৩০ কেজি করে চালও দিয়ে যাচ্ছি। মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেজন্য সরকার ন্যায্যমূল্যে এই নিত্যপয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এটাই প্রচেষ্টা সারাদেশে ইসলাম ধর্মকে নিয়ে কেউ যেন বাড়াবাড়ি করতে না পারে এবং সত্যিকারের ইসলামিক শিক্ষা মানুষ যেন পেতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। যার যার ধর্ম সে সে পালন করবেন। কেননা শেষ বিচার তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিন করবেন। বিচারের ভার আল্লাহ মানুষকে দেননি। কেউ এ ধর্ম পালন করে না বলে তাকে খুন করে ফেলা ইসলামের শিক্ষা নয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান ও সচিব কাজী এনামুল হাসান বক্তব্য দেন।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
নুরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল
১
হংকংকে বিদায় করে সুপার ফোরে এক পা লঙ্কানদের
২
প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি
৩
মতামত ছাড়া বিভাগের প্রস্তাবনা, ঐকমত্য কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ
৪
আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা
৫
তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার
৬
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজার ছুটি কবে থেকে শুরু
৭
ডাকসুর ভোট এবার ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন
৮
আরও বাড়ল ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ
৯
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে রিয়াল শিবিরে সুসংবাদ
১০
সাতক্ষীরায় ৭ বস্তা পলিথিন পোড়ালেন ভ্রাম্যমাণ আদালত
১১
‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা
১২
এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক