সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
টানা পাঁচ মাস ধারাবাহিকভাবে কমলেও ফেব্রুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশে। গত জানুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে বাড়তি মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
গতকাল রোববার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ফেব্রুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লেও তা অতিরিক্ত না। পাকিস্তানের মতো উচ্চ মূল্যস্ফীতি হয়নি। মূল্যস্ফীতি অস্বস্তিকর নয়। আমাদের দেশে এখনো মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ধারাবাহিকভাবে কমার পরে মূল্যস্ফীতি কেন বাড়ল—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পণ্যের দাম বাড়া-কমা
নিয়ে মূল্যস্ফীতির গড় হিসাব হয়। গড় হিসাবে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। একই সঙ্গে কিছু পণ্যের দামও কমেছে। তিনি বলেন, রমজানের চাহিদার কারণে কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এসব কারণেই গড় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে জানান তিনি।
বিবিএসের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ার পাশাপাশি বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতিও। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আগের মতোই রয়েছে।
বিবিএসের দেওয়া মূল্যস্ফীতির হিসাবে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সঙ্গে বেড়েছে খাদ্য মূল্যস্ফীতির হারও। জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ, যা ফেব্রুয়ারি মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার কমেছে, তবে এই কমার হার মাত্র দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি মাসেও শহরের তুলনায় গ্রামে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি। ফেব্রুয়ারি মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, যেখানে গ্রামে এই হার হিসাব করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮০ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় দিক থেকেই গ্রামে মূল্যস্ফীতির হার বেশি হয়েছে।
ফেব্রুয়ারি মাসে গ্রামে খাদ্যে ৮ দশমিক ১৯ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে। এ সময়ে শহরে খাদ্য পণ্যে ৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ ও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ মূল্যস্ফীতি।
এর আগে সম্প্রতি দেশে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি ছিল গত আগস্টে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠেছিল। মূল্যস্ফীতির ওই হার ছিল গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত বছরের আগস্টের পর ধারাবাহিকভাবে আবার কমতে থাকে মূল্যস্ফীতির হার। এরপর প্রতি মাসে মূল্যস্ফীতি একটু একটু করে কমেছে বলে বিবিএসের তথ্যে তুলে ধরা হয়। এর আগে ২০১১ সালের মে মাসে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত আজ
১
অস্কারে যাচ্ছে ইরানের ছবি
২
এমবাপ্পের দুই পেনাল্টিতে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
৩
বাংলাদেশের জয়ের পর গ্রুপ ‘বি’ এর পয়েন্ট টেবিলের চিত্র
৪
প্রথম বলে উইকেট আর ম্যাচ সেরা হওয়ার পর নাসুমের প্রতিক্রিয়া
৫
জীবন দেব তবু ৭১ ও ২৪ রাজাকারদের হতে দেব না : ইশরাক
৬
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর যা বললেন লিটন
৭
একাদশে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
৮
বাংলাদেশ পুলিশকে চীন দূতাবাসের কম্পিউটার উপহার
৯
দলকে জিতিয়ে রেকর্ডের পাতায় নাসুম
১০
আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রধান চালিকাশক্তি হতে পারে ভারত-বাংলাদেশ
১১
রাহুল গান্ধীকে ‘পাকিস্তানের ডার্লিং’ বললেন ভারতের মন্ত্রী
১২
আফগানদের হারিয়ে এশিয়া কাপে টিকে রইল বাংলাদেশ
১৩
মোদির জন্মদিনে ট্রাম্পের ফোন
১৪
ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ ঘোষণা
১৫
পাকিস্তানের এশিয়া কাপ অভিযানে নতুন বিতর্ক!
১৬
বিএনপি-যুবদলের তিনজনকে অব্যাহতি
১৭
রাব্বানীর জিএস পদ অবৈধের সুপারিশে রাশেদের প্রতিক্রিয়া
১৮
বাংলাদেশ পুলিশকে চীন দূতাবাসের কম্পিউটার উপহার
১৯
নানা কর্মসূচিতে রাজধানীতে বিশ্ব নরসুন্দর দিবস পালিত