ডা. তানজিনা আফরিন
প্রকাশ : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৭ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আক্কেল দাঁতের ব্যথা

আক্কেল দাঁতের ব্যথা
প্রাপ্ত বায়সে চারটি আক্কেল দাঁত চোয়ালের চারপ্রান্তে ওঠে। ১৮ বছর বয়স থেকে এদের আবির্ভাব হতে থাকে। অনেকেই এ সময় ব্যথায় কষ্ট পান। প্রতিকার জানাচ্ছেন ডা. তানজিনা আফরিন আক্কেল দাঁত ওঠার সময়ের ব্যথাকে ডাক্তারি ভাষায় পেরিকরোনাইটিস বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্কেল দাঁত ওঠার সময় চোয়ালে জায়গার অভাব থাকে বিধায় এদের উঠতে অসুবিধা হয়। জায়গার অভাবে ভিন্ন অবস্থানে বা প্যাটার্নে উঠে যার কারণে এর চারপাশের মাড়িতে কিছুটা নরম অংশের সৃষ্টি হয় যাকে Peri coronal flap বলা হয়। এ নরম অংশে খাদ্য কণা ঢুকে যায় এবং জমে থাকে যা ব্রাশের সময় পরিষ্কার হয় না। ফলস্বরূপ মাড়ির এ অংশে জীবাণু সংক্রমণ হয়। এভাবেই আক্কেল দাঁতে প্রদাহ বা পেরিকরোনাইটিস হয়ে থাকে। লক্ষ্মণ দাঁতের পেছনের অংশে তীব্র ব্যথা। মাড়ি অথবা চোয়ালের ওই অংশ ফুলে যাওয়া। পুঁজ ও দুর্গন্ধ হওয়া। চোয়ালের প্রান্তে আক্কেল দাঁতের আংশিক উপস্থিতি (partially impacted wisdom tooth) যা সাধারণত নিচের চোয়ালে বেশি দেখা যায়। মাড়ির অংশ বিশেষ আক্কেল দাঁতকে আংশিকভাবে ঢেকে রাখে। কখনো হাঁ করতে কষ্ট হওয়া, ইত্যাদি। Chronic pericoronitis : (দীর্ঘকালীন পেরিকরোনাইটিস) মুখে দীর্ঘ সময় দুর্গন্ধ অনুভব হওয়া। মুখে কখনো লবণাক্ত স্বাদ বোধ হওয়া। হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি বোধ হওয়া। কারণ প্রথমত আক্কেল দাঁত বাঁকাভাবে ওঠা বা ঠিকমতো উঠতে না পারা। মুখের ও দাঁতের অপর্যাপ্ত পরিচর্যা। মাড়িতে বাড়তি অংশ তৈরি হওয়া। গর্ভকালীন সময়ে হরমোনের প্রভাব। ক্লান্তি বা অবসাদগ্রস্ততা থেকে মুখের ঠিকমতো যত্ন না নেওয়া। চিকিৎসা দন্ত বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিয়ে মুখগহ্বর পরীক্ষার মাধ্যমে কিংবা এক্সরের মাধ্যমে সমস্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে চিকিৎসক পরবর্তী পদক্ষেপ নেন। কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করে দন্ত চিকিৎসক চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। যেমন— প্রথম অবস্থায় আক্কেল দাঁতের পার্শ্ববর্তী মাড়ি পরিষ্কার করার মাধ্যমে ব্যথামুক্ত করা হয়। যদি ব্যথা তিন-চারবার হয়ে থাকে বা কয়েকবার লক্ষ্মণ দেখা দেয় তাহলে আক্কেল দাঁতকে ফেলে দেওয়ার মাধ্যমেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। আক্কেল দাঁত যদি সোজা থাকে তাহলে কখনো বর্ধিত মাড়ির অংশকে আংশিক কেটে দেওয়া হয় যাতে আক্কেল দাঁতটি সহজে উঠতে পারে। প্রতিকার আক্কেল দাঁতের প্রদাহ থেকে বাঁচতে হলে মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবচেয়ে জরুরি। সঠিক নিয়মে দাঁত ব্রাশ করা এবং খাওয়ার পর ফ্লসিংয়ের মাধ্যমে দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা পরিষ্কার করতে হবে। জীবাণুনাশক মাউথওয়াশ নিয়মিত ব্যবহার করেও ব্যথা কমানো যেতে পারে। হালকা গরম পানিতে অল্প লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করলেও আরাম পাওয়া যায়। অনেকে আক্কেল দাঁতের প্রদাহ হলে গালের বাইরের অংশে গরম সেঁক দেন, এটা উচিত নয়। তাহলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। আক্কেল দাঁতজনিত কোনো সমস্যা দেখা দিলে দন্ত বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। কখনো লক্ষ্মণ অতিরিক্ত প্রকাশ পেলে ওরাল অ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেশিয়াল সার্জনের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিলে ভালো ফলাফল পাওয়া যেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বুটেক্সের হলে থামেনি চুরির ঘটনা, ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস 'অস্বাস্থ্যকর'

সিলেট হয়ে ঢাকায় ফিরবেন খালেদা জিয়া

কাতার গেলেন সেনাপ্রধান

সংবিধান বানায় শাসকরা, গঠনতন্ত্র জনগণ : ফরহাদ মজহার

সৌদি আরবকে ভয়ংকর এআইএম-১২০ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

কাশ্মীর ইস্যুতে জাতিসংঘে যেতে পারে পাকিস্তান

ঢাকার আবহাওয়া আজ কেমন থাকবে

গাজায় আরও বড় সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

স্থবির পরমাণু আলোচনা, কী বলছে ইরান

১০

সিরিয়ায় একযোগে ব্যাপক বিমান হামলা চালাল ইসরায়েল

১১

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড়ো হচ্ছেন হেফাজতের নেতাকর্মীরা

১২

রাবিতে স্ক্যাবিসের প্রকোপ, আক্রান্ত ২০০ শিক্ষার্থী

১৩

নাটোরে ১৮ বছরের না হওয়া কাজ ৬ মাসের মধ্যে করব : দুলু

১৪

০৩ মে : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৬

০৩ মে : টিভিতে আজকের খেলা

১৭

০৩ মে : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর

১৯

হবিগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

২০
X