মান্দায় শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করলেন প্রধান শিক্ষক
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
মান্দায় শিক্ষার্থীদের রক্তাক্ত করলেন প্রধান শিক্ষক
নওগাঁর মান্দায় ক্লাসে পড়া না পারায় ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে। গত সোমবার ঘটনাটি ঘটে উপজেলার চক গোপাল উচ্চ বিদ্যালয়ে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষে দশম শ্রেণির ছাত্র ইকবাল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে।
ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ক্লাসে পড়া না পারায় দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটান প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী। তিনি ইকবালকে ৫০ থেকে ৬০টি লাঠির আঘাত করেন। এতে তার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায়। এভাবে ক্লাসের ২০ থেকে ২৫ ছাত্রকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন ওই শিক্ষক। পরে ইকবাল ক্লাস থেকে বেরিয়ে বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানালে তারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানান। এরপরই তিনি বিদ্যালয়ে আসেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ক্ষতের ছবি ও ভিডিও অভিযোগের সঙ্গে জমা দেন বলেও জানায় ওই শিক্ষার্থী। গণমাধ্যমকর্মীর হাতে আসা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। ভিডিওতে শিক্ষার্থীরা দাবি করে, প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলী তাদের এমন নির্মমভাবে নির্যাতন করেছেন। এ বিষয়ে জানার জন্য প্রধান শিক্ষক ইদ্রিস আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও গণমাধ্যমের সঙ্গে পরে কথা বলবেন বলে কল কেটে দেন। পরে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ বলেন, স্থানীয় এক অভিভাবক আমাকে বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্লাসে পড়া না পারলে কোনো শিক্ষার্থীকে শারীরিক নির্যাতন করতে পারেন কি না—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেই শিক্ষার্থীকে শেখাতে হবে। কাউকে শারীরিক নির্যাতন করার প্রশ্নই আসে না।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন