সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিম শিশুসন্তানসহ পরিবার নিয়ে বাস করতেন। প্রতিদিন নিজের ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে ফিরতেন বাসায়। বাসার সামনে পৌঁছানোর পর হর্ন বাজাতেন। সেই শব্দ শুনে ‘বাবা এসেছে, বাবা এসেছে’ বলে তার সাড়ে তিন বছরের ছেলে সাফরান করিম ছুটে আসত। কিন্তু এখন সেই চিত্র পাল্টেছে। মানসিক সমস্যায় ভুগে দুই বছর আগে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন আনিসুল। সেখানে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। কিন্তু এখনো বাসার সামনে গাড়ির হর্ন বাজলে সাফরান ভাবে তার বাবা এসেছে।
স্মৃতিচারণ করে আনিসুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আনিসুলের গাড়ির হর্ন শুনে সাফরান দৌড়ে গিয়ে বাবার কোলে উঠত। এখন সে বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। মায়ের কাছেই থাকে। তবে গাড়ির হর্ন শুনলে বাবা আসছে ভেবে এখনো ডাক দেয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য আমার জীবিত ছেলেকে নিয়ে গেলাম। কিন্তু তারা চিকিৎসা না করে হত্যা করল। অসুস্থ শরীর নিয়ে চলছি। বেঁচে থাকা অবস্থায় ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।’
আনিসুলের বোন ডা. উম্মে সালমা বলেন, ‘আমরা পরিবারের সম্পদকে হারিয়েছি। তার সন্তান হারিয়েছে বাবাকে। বাবাকে ছাড়াই সাফরান এখন স্কুলে যাচ্ছে। তার সহপাঠীদের মা-বাবা স্কুলে আসে। কিন্তু সাফরানের বাবা আসে না। ভাই হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করা হোক। জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।’
চিকিৎসার জন্য ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আনিসুলকে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালের পর্যবেক্ষণ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই রুমের মেঝেতে জোরপূর্বক উপুড় করে তিন থেকে চারজন হাঁটু গেড়ে তার পিঠের ওপর বসেন। কয়েকজন তার দুই হাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধেন। কয়েকজন কনুই দিয়ে আনিসুলের ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করেন।
পরে একজন মাথার ওপরে চেপে বসেন ও অন্যরা তার পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারেন। নিস্তেজ হয়ে পড়েন আনিসুল। তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পরদিন আদাবর থানায় আনিসুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আসামিরা হলেন হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহমুদ জয়, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, ফাতেমা খাতুন, মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ, হাসপাতালের সমন্বয়ক দেওয়ান সাব্বির, কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ, আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ডা. নুসরাত ফারহানা।
২০২২ সালের ৮ মার্চ ঢাকার আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার পরিদর্শক ফারুক মোল্লা অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে ডা. নুসরাতের নাম অভিযোগপত্রে আসেনি।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই প্রত্যাশা
১
ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচন করবেন তারেক রহমান
২
আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় আবারও বাড়ল
৩
বিপিএলের মাঝপথে বাংলাদেশ ছাড়বেন যেসব পাকিস্তানি ক্রিকেটার
৪
ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ানো প্রকৃতির অলংকার তিলাইয়া
৫
প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন জুবায়ের রহমান চৌধুরী
৬
খালেদা জিয়ার আসনে বিএনপি নেতার পক্ষে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ
৭
মর্মান্তিকভাবে তিন সন্তানসহ কোচের মৃত্যু
৮
রুয়েটে হাদির নামে আবাসিক হলের নামকরণের দাবি
৯
সড়কে প্রাণ গেল ২ জনের
১০
ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে নতুন তথ্য আবহাওয়া অফিসের
১১
বৃষ্টি ও শীতে দুর্ভোগে ফিলিস্তিনিরা
১২
মুস্তাফিজের বিকল্প খুঁজে নিল ফ্র্যাঞ্চাইজি
১৩
রাজধানীতে আজ কোথায় কী
১৪
সড়ক দুর্ঘটনায় উপজেলা কৃষকদলের সভাপতি নিহত
১৫
বড় চমক নিয়ে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করল ভারত
১৬
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
১৭
জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতায় এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে : সামান্তা শারমিন
১৮
হিন্দু-মুসলিম বড় বিষয় নয়, আমরা সবাই বাংলাদেশি : সেলিমুজ্জামান