মো. জামাল আহমেদ, ভৈরব
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০৯:১৩ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দরজা-জানালায় কোটির কারবার

দরজা-জানালায় কোটির কারবার
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীর পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভৈরব বাজার। সড়ক ও নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের কাছে এ বাজারের গুরুত্বও অন্যরকম। দেশের আর দশটা বাজারের মতো স্থানীয়দের নিত্যপণ্যের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এ বাজারের রয়েছে আরেকটি বিশেষত্ব। ভৈরব বাজারে যেসব পণ্যের ব্যবসা হয়, তার মধ্যে অন্যতম পুরোনো দরজা ও জানালা। সেগুন, আকাশি, লোহা, কাঁঠালসহ বিভিন্ন ধরনের কাঠের ও স্টিলের দরজা-জানালা বাজারমূল্যের প্রায় অর্ধেক দামে পাওয়া যায় এখানে। জানা গেছে, প্রায় ৫০ বছর ধরে ভৈরব বাজারের টিনপট্টি ও কাঠপট্টিতে চলছে পুরোনো দরজা-জানালার কারবার। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে ফেলা বিল্ডিং, বাসাবাড়ি কিংবা অফিসের পুরোনো দরজা-জানালা কিনে এখানে নিয়ে আসেন ব্যবসায়ীরা। এরপর সেগুলো ধুয়ে-মুছে ও প্রয়োজনীয় মেরামতের মাধ্যমে বিক্রির উপযোগী করে তোলেন স্থানীয় শ্রমিকরা। ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত গামারি কাঠ দিয়ে দরজা তৈরি করলে এতে খরচ হয় প্রায় ১৪-১৫ হাজার টাকা। বিপরীতে এ বাজার থেকে একই কাঠের পুরোনো দরজা নিলে খরচ হয় ৬-৭ হাজার টাকা। আবার বার্মাটিকস সেগুন কাঠের দরজা তৈরিতে লাগে ৫০-৬০ হাজার টাকা। সেটাই তাদের কাছ থেকে নিলে খরচ পড়ে ১৫-১৬ হাজার টাকা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্রেতারা পুরোনো দরজা-জানালা কিনতে আসেন এখানে। এতে দিন দিন বাড়ছে ব্যবসার পরিধি। এ ছাড়া কম দামে দরজা-জানালা পেয়ে খুশি ক্রেতারাও। সড়ক ও নদীপথে খুব সহজে এবং কম খরচে দরজা-জানালা নিয়ে যেতে পারেন তারা। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্তরাও সামর্থ্য অনুযায়ী দরজা-জানালা কেনেন এখান থেকেই। বর্তমানে বাজারটিতে এমন দোকানের সংখ্যা ১৫-২০টি। এসব দোকানে আকার ভেদে একেকটি দরজা বেচাকেনা হয় ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায়। আর জানালাপ্রতি বিক্রি হয় ১ হাজার টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। খরচ বাদ দিয়ে প্রতিটি দুই পার্টের দরজা বিক্রি করে ব্যবসায়ীদের লাভ হয় ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা। আর এক পার্টের দরজায় লাভ হয় ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা। প্রতিবছর অন্তত ১২-১৫ হাজার পিস পুরোনো দরজা-জানালা বেচাকেনা হয় এ বাজারে। সে হিসাবে বছরে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয় এসব দোকানে। এই বাজারে পুরোনো দরজা-জানালার ব্যবসার সঙ্গে প্রায় ২০ বছর ধরে যুক্ত আছেন হাজি মুছা মিয়া। তিনি জানান, আমাদের এখানে সরাইল, কুলিয়ারচর, রায়পুরা ও হবিগঞ্জ এলাকা থেকে লোকজন আসে এই দরজা-জানালা নিতে। এর কারণ এখানকার দরজা-জানালা মানে ভালো, দামেও সাশ্রয়। ভৈরব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আলহাজ হুমায়ুন কবির বলেন, এ বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই সুনামের সঙ্গে পুরোনো দরজা-জানালার ব্যবসা চলছে। বছরে প্রায় ১৫-২০ কোটি টাকার বেচাকেনা হয় এখানে। পুরোনো এসব দরজা-জানালার ব্যবসার কারণে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ঠাকুরগাঁওয়ে জ্বালানি তেলের সংকট

একদফা আন্দোলনের আহ্বান ছাত্রদলের

ডেমরার ডিএনডি খালে পড়ে থাকে কুকুর-বিড়ালের মৃতদেহ

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় আপত্তি নেই যুক্তরাজ্যের

সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকতে পারে ইন্টারনেটের ধীরগতি

আলভারেজের দাম বেঁধে দিল ম্যানসিটি

জোট বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রাশিয়া-চীনের যুদ্ধবিমানের হানা

প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে, সিদ্ধান্ত রোববার

পাঁচ পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়

মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানা যাবে কাল

১০

শিশু আহাদের দাফন দিয়ে বাড়িতে শুরু পারিবারিক কবরস্থানের

১১

প্যারিসে বেরসিক বৃষ্টিতে ভিজল বিশ্ব নেতারা

১২

শেখ হাসিনার অর্জন ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা : ওবায়দুল কাদের

১৩

ইরানের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন বাইডেন

১৪

ইহুদিদের পছন্দ করেন না কমলা, বললেন ট্রাম্প

১৫

ন্যাটোর আদলে সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব ইসরায়েলের

১৬

যানজট সরিয়ে ভোগান্তি দূর করেন নবরু

১৭

বর্ষায় জমে উঠেছে চাক জালের হাট

১৮

ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী

১৯

সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

২০
X