রাজকুমার নন্দী
প্রকাশ : ১৭ মে ২০২৩, ০২:২৪ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সরকার কিছু টোপ ছেড়েছে

সরকার কিছু টোপ ছেড়েছে
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সরকার ইতোমধ্যে কিছু টোপ বাজারে ছেড়েছে বলে দাবি করেছেন যুগপৎ আন্দোলনের শরিক গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। তার দাবি, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে বিভিন্ন দলকে সংসদে আসন, অর্থসহ নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। সরকার প্রকাশ্যে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করলেও নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনে তলে তলে সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন নুর। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশিদের সিগন্যালের আশায় থাকলে ক্ষতি হয়ে যাবে। কারণ, প্রতিটি রাষ্ট্রই তার নিজস্ব সুবিধাটা দেখবে। আন্দোলন বেগবান করতে পারলে তবে বিদেশিদের সিগন্যালে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোও আমাদের সমর্থন করবে। বিদেশিদের সিগন্যালে সরকার পতন হবে না। সম্প্রতি কালবেলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন নুরুল হক নুর। রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ প্রতিবেদককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে গণঅধিকার পরিষদের বেরিয়ে যাওয়ার নেপথ্য কারণ, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, নির্বাচন নিয়ে ভাবনা, সংলাপের সম্ভাবনা, আন্দোলন নিয়ে বিদেশিদের অবস্থান, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর কাছে শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যাশাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন তিনি। কালবেলা : গণতন্ত্র মঞ্চের আত্মপ্রকাশের ৯ মাসের মধ্যেই জোট থেকে গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে গেছে। কী কারণে জোট থেকে বের হলো গণঅধিকার পরিষদ? নুরুল হক নুর : গণতন্ত্র মঞ্চে ৭টি রাজনৈতিক দল জোটবদ্ধভাবে কর্মসূচি পালন করছে। আমরা চেয়েছিলাম, দীর্ঘ ৯ মাসের এ পথচলায় একটি নবীন রাজনৈতিক দল হিসেবে এবং দীর্ঘ তিন দশকের মধ্যে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে উঠে আসা একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গণঅধিকার পরিষদ দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবার সঙ্গে মিশব, সবার সঙ্গে কথা বলব এবং চলমান আন্দোলনে নবীন হিসেবে একটি কার্যকরী ভূমিকা রাখব; কিন্তু গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে থেকে আমাদের মনে হচ্ছিল, সে ভূমিকাটা রাখা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আমাদের দলের পরিধি থেকে একটি বৃহৎ পরিসরে ভূমিকা রাখার জন্য মূলত আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে আমরা বেরিয়ে গেলেও সরকার ও শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তনের লক্ষ্যে বিরোধীদলগুলোর যে যুগপৎ আন্দোলন চলছে, সেখানে আমাদের সক্রিয় ও কার্যকর ভূমিকা থাকবে। বরং আগের চেয়ে গণঅধিকার পরিষদের আরও বেশি ‘ভাইব্রেন্ট ও ডায়নামিক’ ভূমিকা দেখতে পাবেন। গণতন্ত্র মঞ্চের প্রোগ্রামে আমাদের দলের নেতাকর্মীদের একটা ‘গা-ছাড়া’ ভাব ছিল। এটা ভেবে যে, সেখানে অন্য দলগুলোর নেতাকর্মীরাও তো আসবে, সুতরাং আমাদের অল্প নেতাকর্মী গেলেও সমস্যা নেই। কালবেলা : গণতন্ত্র মঞ্চের কয়েকটি দলের সন্দেহ, সরকারের সঙ্গে প্রথম থেকেই গণঅধিকার পরিষদের যোগাযোগ আছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তেমন গুঞ্জন ছিল। ফলে সরকারের মদদে গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে যে কোনো সময় গণঅধিকার পরিষদ বেরিয়ে যেতে পারে। নুরুল হক নুর : গণতন্ত্র মঞ্চে যেসব রাজনৈতিক দল আছে সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে ছিল, অনেকে বাম গণতান্ত্রিক জোটে ছিলেন। একমাত্র দল গণঅধিকার পরিষদ, যারা আগে কোনো জোটে ছিল না, বলতে গেলে ফ্রেশ দল। সেই জায়গা থেকে বলতে গেলে আমরাই এই জোটের অন্যতম উদ্যোক্তাও ছিলাম। সেখানে আমরা কেন এ জোট থেকে বেরিয়ে যেতে বিশেষ কোনো সুবিধা লাভের চিন্তা-ভাবনা করব। আমরা যে লক্ষ্য-উদ্দেশ্য নিয়ে জোট করেছি, সেটা নানা কারণে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে একেবারে সুন্দরভাবে, সমঝোতার ভিত্তিতে আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা নিয়ে যদি কেউ কোনো ধরনের সন্দেহ পোষণ করেন অথবা কেউ যদি এমন কথা বলে থাকেন যে, গণঅধিকার পরিষদ সরকার থেকে বিশেষ সুবিধা লাভের জন্য গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে বেরিয়ে গেছে, তাহলে তারা সেটা অসৎ উদ্দেশ্য থেকে বলেছেন। গণঅধিকার পরিষদের জন্মটাই হয়েছে সরকারের অনিয়ম, অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, লড়াই-সংগ্রাম করার জন্য। গত তিন দশকের একটি সফল ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের উত্থান। ডাকসুর ভিপি-জিএস থাকাবস্থায় অনেকে মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। আমাদেরও তো সেই সুযোগ ছিল, সে ধরনের অসততার মধ্যে যদি আমরা নিজেদের নিমজ্জিত করতে পারতাম। সেটা আমাদের বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই। গণঅধিকার পরিষদের অল্প সময়ের এই অগ্রযাত্রায়, এ বিস্তৃতিতে অনেকেই অসন্তুষ্ট। অনেকের মধ্যেই ঈর্ষা, হিংসা জন্ম নিয়েছে যে, গণঅধিকার পরিষদের ছাত্ররা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজে গ্র্যাজুয়েশন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। তারা একটা রাজনৈতিক দল গঠন করে তরুণ সমাজকে নিয়ে আন্দোলন করছে, নেতৃত্বে চলে আসছে। তারা (সমালোচনাকারীরা) মনে করছে, ডে বাই ডে গণঅধিকার পরিষদের যত উত্থান হবে, তারা ততই নিস্তেজ হবে। এ জন্য তারা বিরূপ মন্তব্য করতে পারে। মানুষ আমাদের বিবেচনা করবে আমাদের কর্মের মাধ্যমে, আমি বা আমরা কী করতে চাই। কালবেলা : গণঅধিকার পরিষদের এখন নতুন কোনো জোটে যাওয়া কিংবা নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা আছে কি না? নুরুল হক নুর : আমাদের আপাতত কোনো জোটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই কিংবা নতুন জোট গঠন করারও সম্ভাবনা নেই। সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য এখন আমরা আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে সংলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিভিন্ন দলগুলোকে নিয়ে যে ভূমিকা রাখতে পারি, সেই ভূমিকা রাখব, তবে সেটা জোট আকারে নয়। আমরা মনে করি, বর্তমানে আমাদের সবারই অন্যতম একটা কাজ হচ্ছে যে, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা এবং তাদের ওপর চাপ তৈরি করা। হয়তো বিভিন্ন দলে মতানৈত্য আছে, মতপার্থক্য আছে। তাই একসঙ্গে না হলেও যার যার ব্যানার থেকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকুক। জোট না হলেও আমরা এখন সেই পরিবেশটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। কালবেলা : আবেদন করা ৯৩টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১২টিকে নিবন্ধনের জন্য ইতোমধ্যে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে তালিকায় গণঅধিকার পরিষদও রয়েছে। নিবন্ধন নিয়ে আপনারা কতটা আশাবাদী এবং কেন? নুরুল হক নুর : বর্তমানে যে রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে, তাদের চেয়ে গণঅধিকার পরিষদ অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে। নিবন্ধন পাওয়ার জন্য তিনটি শর্তের মধ্যে একটি পূরণ করতে হবে। একটি শর্ত সেটি এ রকম, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ জেলায় এবং একশ উপজেলায় সক্রিয় কার্যালয় ও কমিটি থাকতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে ৫৩টি জেলা কমিটি করেছি। ৩ শতাধিক উপজেলায় আমাদের সক্রিয় কার্যক্রম আছে। নির্বাচন কমিশনের চাওয়ার থেকে কার্যক্রমে আমরা কয়েকগুণ বেশি এগিয়ে। সুতরাং নিবন্ধন না দেওয়ার তো কোনো কারণ দেখি না। তবে একটা শঙ্কা আছে। সর্বক্ষেত্রে সরকারের যে একটা হস্তক্ষেপ-নিয়ন্ত্রণ থাকে যেমন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকতা ও সংবাদ মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা, আদালতকে নিয়ন্ত্রণ করা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে ভিন্নমতের রাজনীতিবিদদের নিয়ন্ত্রণ করা; তাছাড়া গণতন্ত্র মঞ্চ ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তাই সরকার যদি নিবন্ধন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, নির্বাচন কমিশন হয়তো সরকারের সে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সহায়ক হতে পারে। সেক্ষেত্রে গণঅধিকার পরিষদকে নিবন্ধন থেকে বঞ্চিত করার একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে, তবে সেটা এত সহজ হবে না। বর্তমান প্রেক্ষাপটে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর দেশি-বিদেশি চাপ আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আগে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আর সেই পরিবেশের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। সেক্ষেত্রে অনিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে যাদের যোগ্যতা আছে, তাদের নিবন্ধন দিতে হবে। কালবেলা : গণঅধিকার পরিষদ নিবন্ধন নিয়ে আশাবাদী। সেক্ষেত্রে আগামী নির্বাচন নিয়ে আপনাদের ভাবনা কী কিংবা কোন অবস্থা হলে আপনারা নির্বাচনে যাবেন? নুরুল হক নুর : ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশি-বিদেশি সকলের কাছে এটা স্পষ্ট যে, দলীয় সরকারের অধীনে কখনো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সরকার যেভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে আদালত, সব জায়গায় একটা একচ্ছত্র প্রতিষ্ঠা করেছে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যতীত সুষ্ঠু নির্বাচন একেবারে অসম্ভব। সে কারণে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল দাবি করছে যে, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তাদের সঙ্গে আমরাও একমত। এই দাবি আদায়ের জন্য আমরা রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রামে আছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ অংশ নেবে না। সরকার কিছু টোপ বাজারে অলরেডি ছেড়েছে। বিভিন্ন দলকে সিট দেওয়া, পয়সা দেওয়া ও ফ্লোর দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। গণঅধিকার পরিষদ তরুণদের নেতৃত্বের সংগঠন হতে পারে; কিন্তু লোভী, অসৎ তরুণদের সংগঠন না। তাহলে এতদিন আমরা যেসব আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে চুপসে যেতাম। আমরা আন-কম্প্রোমাইজ অবস্থানে থেকে এ অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রামটা করেছি। ভবিষ্যতে নির্বাচনের ক্ষেত্রেও অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত সরকারের কোনো পাতানো ও সাজানো নির্বাচনে গণঅধিকার পরিষদ অংশ নেবে না। আর যদি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা হয়, তখন গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। কালবেলা: নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে দেশের বড় দুটি দল বিপরীতমুখী অবস্থানে। এমন প্রেক্ষাপটে সংকট উত্তোরণের পথ কী? নুরুল হক নুর : আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে ডায়ালগ করে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য খুবই আন্তরিক, মুখিয়ে আছি। এখন আমরা দুই পা এগোনোর পরও সরকার যদি এক পা-ও না এগোয়, তাহলে সেই পরিবেশটা তৈরি হবে না। তার দায়ভার পুরোটাই সরকারকে নিতে হবে। সরকারকে আমরা এই কথাটা বলে দিতে চাই, পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো স্বৈরশাসক আজীবন ক্ষমতায় থাকেনি। কালবেলা : নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংলাপের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন কি না? নুরুল হক নুর : সবাই একটা কথা বলে থাকে যে, রাজনীতিতে শেষ বলে কোনো কথা নেই। প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগে আমেরিকায় বলেছেন যে, বিরোধীদল বিএনপির সঙ্গে বসবে না, তাদের গায়ে পোড়া মানুষের গন্ধ। আবার আমেরিকায় বিশ্ব ব্যাংক কার্যালয়ের সামনে, লন্ডনে হোটেলের সামনে যখন বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ করে, তখন তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আবার আলোচনার জন্য তাদের ডেকেছেন। রাজনৈতিক কারণে ইগোর জায়গা থেকে অনেকে অনেক কথা বলে থাকেন, আবার তলে তলে কিন্তু বিভিন্ন সমঝোতার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। কাজেই সংলাপের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। শতভাগ আশাবাদী যে, সংলাপ হবেই। সেটা ফলপ্রসূ হোক বা ব্যর্থ সংলাপ হোক। ফলপ্রসূ সংলাপ হলে সেটা সবার জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করবে, আর ব্যর্থ সংলাপ হলে সেটা সবার জন্য একটা বিপর্যয় ডেকে আনবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার বর্জ্যে দুর্ভোগে ৩ লাখ মানুষ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ছিল যে দেশগুলো

দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা

উদ্বোধনীতে অ্যাথলেটদের চেয়ে বেশি উৎফুল্ল বাংলাদেশের কর্তারা

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতার ছেলে গ্রেপ্তার

৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু

ভেজানো ছোলা খাওয়ার উপকারিতা

হামলা মামলা ও লাঞ্ছনার শিকার লালমনিরহাটের ৬ সাংবাদিক

কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র, লজ্জায় আত্মহত্যা

১০

প্যারিসের আলোয় উদ্ভাসিত অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

১১

ট্রলার উদ্ধারে গিয়ে ডুবল স্পিডবোট, সৈকতে ভেসে এল ২ মরদেহ

১২

সিলেটে ‘অবৈধ’ নিয়োগে প্রভাষক জালিয়াতিতে অধ্যক্ষ!

১৩

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

১৪

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

১৫

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

১৬

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

১৭

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

১৮

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

১৯

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

২০
X