সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
প্লিহা বা পিলে। প্লিহা আমাদের পেটের বাঁদিকের পাকস্থলীর পাশে থাকে। পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের মধ্য দিয়ে শিরা ও ধমনি এসে প্লিহাতে প্রবেশ করে। প্লিহা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে সাহায্য করে। বিভিন্ন কারণে প্লিহা বড় হয়ে গেলে নানা জটিলতা দেখা দেয়। অপারেশন করে প্লিহা কেটে বাদ দিতে হয়।
ডা. উজ্জ্বল কুমার রায়
প্লিহা আমাদের শরীরে অনেকটা ছাঁকনির মতো কাজ করে। এটি রক্ত থেকে জীবাণু ছাঁকে। প্লিহাকে মানব শরীরের ব্লাডব্যাংক বলা যায়। কিছু রক্ত এখানে জমা থাকে। কোনো কারণে শরীরে রক্তপাত হলে সেই ঘাটতি মেটাতে প্লিহা সঞ্চিত রক্ত সরবরাহ করে। ভ্রূণ অবস্থায় চার মাস বয়স থেকে জন্মের কিছুদিন আগপর্যন্ত প্লিহাই সব ধরনের রক্তকণিকা তৈরি করে। পরবর্তীকালে এ কাজটি অস্থিমজ্জার মাধ্যমেই হয়ে থাকে।
কেন বাড়ে প্লিহা
প্লিহা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ রক্তকণিকা জন্মগতভাবে ভেঙে যাওয়ার অসুখ বা হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া। এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের প্লিহা সব থেকে বড় হয় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্লিহা কেটে বাদ দিতে হয়। হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া ছাড়াও প্রদাহের কারণে প্লিহাতে পুঁজ জমতে পারে। আঘাতজনিত কারণে প্লিহা ফেটে যেতে পারে। কোনো কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে প্লিহার ক্ষতি হতে পারে। লিভার ফেইলিউরের কারণে প্লিহা বড় হয়। প্লিহাতে টিবিও হতে পারে। পেটে এক ধরনের পোকা যার নাম সিস্টোসোমা ম্যানসনি, প্লিহাতে বাসা বেঁধে রক্ত চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি করে। এর থেকে লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রক্তের ক্যান্সার হলেও প্লিহা বড় ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। প্লিহার সব ধরনের সমস্যাতেই এ অঙ্গটির আকৃতিতে কিছুটা পরিবর্তন হয়। তবে প্লিহা খুব বড় হয়ে গেলে এর ছাঁকনি ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। তখন শরীরের সব ধরনকে রক্তকণিকাকে প্লিহা ধ্বংস করতে শুরু করে।
অপারেশন কখন
আঘাতজনিত কারণে ফেটে গেলে বা পাকস্থলীর ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ অপারেশনের সময় প্লিহা বাদ যায়। লিম্ফোমা অসুখের শ্রেণিবিভাগ জানার জন্য কখনো কখনো বাদ দিতে হয়। সিরোসিসের কারণে খাদ্যনালির শিরা মারাত্মকভাবে ফুলে যায়। তখন অন্য রাস্তা করার জন্য বাদ দিতে হয়। প্লিহা অপারেশনের আগে কিছু ব্যাপার জেনে নিতে হয়। যেমন—রোগীর রক্তকণিকার অবস্থান, অর্থাৎ কতটা কমে গিয়েছে। রক্ত কমে গেলে তখন রোগীকে রক্ত দিয়ে একটু চাঙ্গা করে তারপর সার্জারি করতে হয়।
অপারেশনের পর
প্লিহা বাদ দেওয়ার পর কিছু রোগজীবাণু অতি সক্রিয় হয়ে ভয়ংকর আক্রমণ চালাতে পারে। তাই অপারেশনের আগেই মেনিনজাইটিস, নিউমোনিয়া প্রভৃতি জীবাণুদের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক দিয়ে দেওয়া হয়। অপারেশনের পর রোগীর শরীরের অভ্যন্তরে রক্তপাত হতে পারে। পাকস্থলীতেও রক্তপাতের আশঙ্কা থাকে। সার্জারির সময় পাকস্থলীতে আঘাত লাগতে পারে। অপারেশনের ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা যেহেতু কমে যায়, তাই সুযোগসন্ধানী জীবাণুরা অনর্গল আক্রমণ চালায়। শিশুদের প্লিহা অপারেশনের পর প্রয়োজন হলে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত দৈনিক পেনিসিলিন দেওয়া উচিত।
লেখক : মেডিসিন, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র (আইবিএস) গ্যাস্ট্রোএন্টারওলজিস্ট। গ্লোবাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ঢাকা।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
চবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
১
কুষ্টিয়ায় রেলপথ অবরোধ
২
বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলল ডিএমপি
৩
সুখ খুঁজছেন অক্ষয় কুমার
৪
ওসমান হাদিকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সিঙ্গাপুরের পথে
৫
কলকাতায় নিরাপত্তা নিয়ে ‘গুরুতর হুমকি’ অনুভব করেন মেসি
৬
অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম নীরব ক্ষতি করছে আপনার চোখ ও মস্তিষ্কের
৭
জীবনহানির শঙ্কায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দোলনের জিডি
৮
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি ছিল অগ্রভাগে : সাঈদ আহমেদ