মেট্রোরেলের সব ধরনের টিকিটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) মওকুফ করা হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মূসক নীতির প্রথম সচিব মোহাম্মদ হাসমত আলী স্বাক্ষরিত বিশেষ আদেশ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এই সুবিধা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে এ সুবিধা কার্যকর হবে। এনবিআরের বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। যানজট নিরসনের পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফলে মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে বেশি জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এতে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয় করা প্রয়োজন। তাই মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবায় আরোপিত ভ্যাট মওকুফ করা হলো।
এর আগে মেট্রোরেলে সেবার বিপরীতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিষয়টি জানিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দিয়েছিলেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকার (দক্ষিণ) কমিশনার শওকত আলী সাদী। জবাবে ডিএমটিসিএল জানায়, শুধু ভাড়ার আয়ে মুনাফায় মেট্রোরেল পরিচালনা করা যায় না। সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। এ প্রেক্ষাপটে এমআরটি লাইন-৬ পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে অর্থ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ডিএমটি জানায়, ঢাকা মহানগরীর যানজটের বার্ষিক প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় সেবার ওপর কোনো মূসক প্রযোজ্য নয়।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যাত্রী পরিবহন সেবার ক্ষেত্রে তাপানুকূল ও প্রথম শ্রেণির নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের সেবার ক্ষেত্রে অব্যাহতি প্রদান করা হয়নি। যেহেতু মেট্রোরেল সম্পূর্ণ তাপানুকূল নিয়ন্ত্রিত, বর্তমানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক প্রযোজ্য।