কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৬ মে ২০২৩, ০৮:৫৮ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

সংকটকালে করণীয় আমল

সংকটকালে করণীয় আমল
পৃথিবীতে মানুষকে পাঠানো হয়েছে পরকালের অনন্ত জীবনের প্রস্তুতির জন্য। এখানে মানুষের মূল কাজ মহান আল্লাহকে মান্য করা ও তার নির্দেশিত পথে চলা। আল্লাহ এখানে মানুষকে পদে পদে পরীক্ষা করবেন। যেমন সুরা মুলকের দ্বিতীয় আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘যিনি সৃষ্টি করেছেন মৃত্যু ও জীবন, তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য, কে তোমাদের মধ্যে আমলের দিক থেকে উত্তম? তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরম ক্ষমাশীল।’ তিনি আমাদের কীভাবে পরীক্ষা করবেন? সে বিষয়ে সুরা বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াতে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং জানমাল ও ফলফলাদির স্বল্পতার মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।’ সুতরাং আমাদের জানা উচিত, বিপদ-মুসিবত এবং মহামারিকালে করণীয় কী? বিশ্বাস নবায়ন ও দৃঢ় করা : যে কোনো বিপদ-মুসিবত ও মহামারিতে মুমিনের প্রথম কাজ হলো নিজের আকিদা-বিশ্বাস সঠিক ও দৃঢ় করা যে, আল্লাহতায়ালা যদি আমার তাকদিরে লিখে রাখেন, তবে তা কোনোভাবেই প্রতিহত করা সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে আল্লাহতায়ালাই আমাকে সুস্থতা দান করবেন, মারা গেলে ‘শহীদ’-এর মর্যাদা তথা বিনা হিসেবে জান্নাত দান করবেন। আর যদি আমার তাকদিরে না লিখে থাকেন, তবে আমি কখনো আক্রান্ত হব না। আমল সংশোধন করা : সুরা রুমে বর্ণিত হয়েছে, ‘মানুষের কৃতকর্মের দরুন স্থলে ও সমুদ্রে ফাসাদ প্রকাশ পায়। যার ফলে আল্লাহ তাদের কতিপয় কৃতকর্মের স্বাদ তাদের আস্বাদন করান, যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সুরা রুম : ৪১) এবং সুরা হুদে বর্ণিত হয়েছে, ‘আর আপনার রব এমন নন যে, তিনি জনপদগুলো অন্যায়ভাবে ধ্বংস করে দেবেন অথচ তার অধিবাসীরা (নিজেদের কর্ম) সংশোধনকারী।’ (সুরা হুদ : ১১৭)। অতএব আমাদের উচিত সব অন্যায় ও অপকর্ম বর্জন করে সৎ ও সঠিক কাজে লিপ্ত থাকা। বেশি বেশি ইস্তেগফার করা : আল্লাহর কাছে নিজ গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘(হে নবী!) আল্লাহ এমন নন যে, আপনি তাদের মাঝে বর্তমান থাকা অবস্থায় তাদের শাস্তি দেবেন এবং তিনি এমনও নন যে, তারা ইস্তেগফারে রত অবস্থায় তাদের শাস্তি দেবেন।’ (সুরা আনফাল : ৩৩)। সুতরাং আমরা যদি আমাদের কৃত অপরাধের কারণে আল্লাহতায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি তাহলে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দেবেন এবং সব বিপদ-মুসিবত ও মহামারি আমাদের থেকে দূর করে দেবেন। ফজিলতপূর্ণ সুরা পাঠ করা : দিনে যে কোনো সময় সুরা ফাতেহা তিনবার, সুরা ইখলাস তিনবার এবং সুরা আলে ইমরানের এ আয়াত ৩১৩ বার পড়া—‘আল্লাহতায়ালাই আমাদের জন্য যথেষ্ট। আর তিনি অতি উত্তম অভিভাবক।’ (সুরা আলে ইমরান ১৭৩)। আমরা যদি এ কাজগুলো করতে পারি আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা আমাদের থেকে সব বিপদ-মসিবত দূর করে দেবেন এবং আমাদের সুস্থ, সুন্দর ও প্রাণবন্ত একটি পৃথিবী উপহার দেবেন। মুহাম্মদ নুরুল হুদা

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৩২৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বাবা-ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি / রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রসমাবেশ থেকে কর্মসূচি ঘোষণা

ইরানের কমান্ডার কানি গুপ্তচর কি না, জানাল মোসাদ

যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি

চাল না কিনলে জাপানে নতুন করে শুল্কের হুমকি যুক্তরাষ্ট্রের

হলি আর্টিসান হামলার আজ ৯ বছর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী কাজী জাফরের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ

কারাগারে যেমন কাটছে মমতাজের

পাকিস্তানে একযোগে হামলা চালাতে চায় ভারত-ইসরায়েল

সুনামগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল জমিয়ত

১০

মহররমে বিদআত ও ভ্রান্ত রীতি : যা করণীয়

১১

যশোর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কের পদত্যাগ

১২

সরকারি চাকরিতে বিপুলসংখ্যক পদ ফাঁকা

১৩

দেশের সব ব্যাংকে লেনদেন বন্ধ থাকবে আজ 

১৪

০১ জুলাই : কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

১৫

দুপুরের মধ্যে যেসব জেলায় ঝড়বৃষ্টি হতে পারে

১৬

মঙ্গলবার ঢাকার যেসব এলাকায় মার্কেট বন্ধ

১৭

১ জুলাই : আজকের নামাজের সময়সূচি

১৮

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসে তালা দিলেন বৈষম্যবিরোধী নেতারা

১৯

চাকসু ভবনকে ‘ভাতের হোটেল’ ঘোষণা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের

২০
X