সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
চট্টগ্রাম নগরীতে দিন দিন বাড়ছে নির্বিচারে পাহাড় কাটার প্রবণতা। একদিকে ছিন্নমূলরা মাথা গোঁজার ঠাঁই বানাচ্ছেন, অন্যদিকে বিত্তশালীরা চালাচ্ছেন দখল। পাহাড় কাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের শক্ত অবস্থানের পরও কমেনি এ প্রবণতা। সম্প্রতি নগরীর বায়েজিদ লিঙ্ক রোডের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের বিরুদ্ধে উঠেছে পাহাড় কাটার অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়টির শেষ প্রান্তে অবকাঠামোগত উন্নয়নে পাহাড় কেটে ভবন ও সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ঘনফুট পাহাড় কর্তন ও ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় মোচনের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ২০০৪ সালে বায়েজিদ বোস্তামী লিঙ্ক রোডের পাশে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন প্রতিষ্ঠার জন্য ১০৮ দশমিক ৪০ একর জমি বিনামূল্যে বরাদ্দ দেয় সরকার। পরে ২০২২ সালে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিকে পাহাড়ের ওপর অবস্থানগত ছাড়পত্র দেয় পরিবেশ অধিদপ্তর। এই ছাড়পত্রে কোনো ধরনের পাহাড় কর্তন বা মোচন করা যাবে না বলে শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রতিষ্ঠানটি সেই শর্ত না মেনে ভবন এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করছে।
সেই জেরে গত ৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে যান অধিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা। বিশ্ববিদ্যালয়টির শেষ প্রান্তে পাহাড় কেটে ভবন ও সড়ক নির্মাণের প্রমাণ পান তারা। এ সময় জরিপ কর্মকর্তা না থাকলেও প্রায় ২ লাখ ৮৮ হাজার ঘনফুট পাহাড় কর্তন এবং ২০ হাজার ঘনফুট পাহাড় মোচন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক প্রমাণ মেলে। তা ছাড়া সড়ক নির্মাণে একটি প্রাকৃতিক ছড়া ভরাট করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এর ফলে পরিবেশ আইন অমান্য করা হয়েছে বলেও মনে করছেন তারা। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারাই পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (মহানগর) হিল্লোল বিশ্বাস কালবেলাকে বলেন, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পাহাড় কাটা হয়েছে বলে প্রমাণ মিলেছে। পরিবেশের ছাড়পত্রে কোনোভাবেই পাহাড় কাটতে পারবে না—এ শর্ত ছিল। কিন্তু তা লঙ্ঘন করে পাহাড় কাটছে তারা। এখন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্প্রতি পাহাড় কাটা প্রতিরোধে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার লিঙ্ক রোডে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অভিযানে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখতে পান, আরেফিননগরে বিশ্ববিদ্যালয়টির মালিকানায় থাকা পাহাড়ের কিছু অংশ কেটে সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। খোঁজ নিতেই তারা জানতে পারেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ দেওয়া শ্রমিকরাই সেখানে কাজ করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সানাউল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পাহাড় কাটার কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে রাস্তা কাটার কথা বলা হচ্ছে, তা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তৈরি করা পুরোনো রাস্তা। একটি চুক্তির মাধ্যমে তা আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে সিডিএ। রাস্তার পাশে আমাদের ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। সেখান থেকে যে মাটি উঠেছে তা রাস্তার ওপরে ফেলেছি। অনেক আগেই পাহাড় কেটেছিল সিডিএ।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বায়জিদ লিঙ্ক রোডের প্রকল্প পরিচালক আসাদ বিন আনোয়ার বলেন, রাস্তাটা হচ্ছে পাহাড়ের মাঝখানে। আমরা পরিবেশের অনুমতি নিয়ে কাজ করেছিলাম। আর অনুমতি ছাড়া পাহাড় না কাটার জন্য এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি ফর উইমেনকেও বলা হয়েছে।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
অলিম্পিকে দ্বিতীয় রাউন্ডেই নাদাল-জোকোভিচ লড়াই
১
ফাইয়াজের কোমরে দড়ি পরানো ভুল ছিল, হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ
২
বৃষ্টি আরও বাড়বে, সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত
৩
সাপের কামড়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর মৃত্যু
৪
দিল্লির রাস্তায় হেনস্তার শিকার অভিনেত্রী, দিলেন ভয়ংকর বর্ণনা
৫
২৮ দিন পর মন্ত্রিসভার বৈঠক বসছে
৬
হাসপাতালের নারী কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে
৭
যুবককে পিষিয়ে দিয়ে গেল বিএমডব্লিউ
৮
গুলিতে নিহত তামিমের বাবা বললেন, ‘সে ছাত্রলীগ করত’
৯
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে প্রতিদিন চলছে অসহায়দের জন্য খাবার বিতরণ
১০
বর্ষায় শেরপুরে চাঁই বিক্রির হিড়িক
১১
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট