সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রাথমিকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এটি। কিন্তু এ বছরের মার্চে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, অবসরজনিত ১০ হাজারেরও বেশি সংখ্যক শিক্ষকসহ মোট ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হবে। তবে আট মাস পর আবার সেই সিদ্ধান্তে এলো পরিবর্তন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ভাষ্য, এ মাসেই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও বিজ্ঞপ্তি অনুসারেই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত গতকাল শনিবার কালবেলাকে বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগে পদ ৩২ হাজার ৫৭৭-ই থাকছে। আমি যোগদান করেছি মাত্র দেড় মাস। এর আগে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা আমি জানি না। ফলাফল এ মাসেই প্রকাশ হবে।’
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এরপর ২৫ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার আবেদন শুরু হয়। শেষ হয় ২৪ নভেম্বর। ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদের জন্য আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন। প্রতি পদের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন ৪০ জন। সহকারী শিক্ষকের মোট ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদের মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ হাজার ৯৪৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার ৫৭৭ পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পরে এই সংখ্যা বাড়ানো হয়। গত ১০ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সভা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয়, অবসরজনিত কারণে বিজ্ঞপ্তির বাইরে আরও দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যা পাঠদান কার্যক্রমকে ব্যাহত করছে। এ সমস্যা নিরসনে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ এবং বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, ‘৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা আবার কবে বলা হয়েছে! আমরা তো নিচ্ছি ৩২ হাজার ৫৭৭ জন। এই সংখ্যা কাগজপত্রেও আছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ীই তো নিয়োগ হবে।’
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে কোনো একটা কারণে হয়তো এটা বলা হয়েছে। কী কারণ, তা আমাদের জানা নেই।’ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. ফারুক আলম বলেন, ‘এই বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলাপ হয়েছিল, কিন্তু সিদ্ধান্ত পাস হয়নি। সে কারণে বিজ্ঞপ্তির সংখ্যা অনুযায়ীই নিয়োগ হবে।’ এ বিষয়ে জানতে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এবং প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে কল করা হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
বর্তমানে সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষক আছেন প্রায় পৌনে চার লাখ। সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হয়। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। এ নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ প্রার্থী। চলতি মাসেই তিনটি ধাপের চূড়ান্ত ফল একবারে প্রকাশ করা হবে।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা যাবে না ড্রোন
১
অযত্নে নষ্ট অর্ধকোটি টাকার নৌ অ্যাম্বুলেন্স
২
সুপেয় পানির সংকট মোকাবিলায় ট্যাংক বিতরণ
৩
নির্বাচন যত দেরিতে হবে, ষড়যন্ত্র তত বাড়বে : রাশেদ খান
৪
শিবালয়ে বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে র্যালি ও জনসমাবেশ
৫
বিষাক্ত বাতাসে আচ্ছন্ন শহর, দূষণ ১৬ গুণ বেশি
৬
‘শহীদ শামসুজ্জোহার চেতনাকে ধারণ করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করতে চাই’
৭
ফাঁদ পেতে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে জনতার হাতে ধরা
৮
শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ এ্যানির
৯
শুঁটকি উপকারী না ক্ষতিকর? কী বলছেন পুষ্টিবিদ
১০
ভারত / প্লেনের ভেতর যাত্রীর পাওয়ার ব্যাংকে হঠাৎ আগুন
১১
বাংলাদেশের পর এবার স্কোয়াডে পরিবর্তন আনল ওয়েস্ট ইন্ডিজও
১২
জুলাই আন্দোলনে শহীদরাও মুক্তিযোদ্ধা : রিজভী
১৩
অল্প বয়সেই চুল পড়ে যাচ্ছে? উপকার মিলতে পারে ৫ ফলে
১৪
এক্সিকিউটিভ পদে এসকেএফ ফার্মায় চাকরির সুযোগ
১৫
নতুন যে সমীকরণের সামনে বাংলাদেশ
১৬
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
১৭
ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে ট্রান্সকম গ্রুপে চাকরির সুযোগ
১৮
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের মহাসমাবেশ
১৯
কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চরমে