সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকে বড় অঙ্কের (১০ কোটি টাকার বেশি) ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহমুদ হোসেন গত বুধবার পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় ব্যাংকটির সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
গত রোববার ব্যাংকটিকে এই নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। চিঠিতে নগদ আদায় ছাড়া পুরোনো ঋণ নবায়ন করা যাবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া শতভাগ নগদ টাকা জমা ছাড়া কোনো ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ব্যাংকটিকে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকটির আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি পদত্যাগ করায় ব্যাংকটিতে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। বড় ঋণ বন্ধ রাখাসহ আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত কৃষি, চলতি মূলধন, এসএমই ও ভোক্তা ঋণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধার আওতায় ঋণ বিতরণ ছাড়া অন্য কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া, ঋণপত্র খুলতে হলে গ্রাহকের কাছ থেকে পুরো টাকা আগে জমা নিতে হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, আগে অনুমোদন হওয়া ঋণের অর্থের ১০ কোটি টাকার বেশি বিতরণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। আগের ঋণের বকেয়া অর্থ নগদ আদায় ছাড়া ওই ঋণ নবায়ন করা যাবে না। অন্য ব্যাংকের কোনো ঋণ অধিগ্রহণ করা যাবে না।
এর আগে, গত বুধবার ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মেহমুদ হোসেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার আর ব্যাংকে যাননি তিনি। এমডি পদে তার মেয়াদ ছিল আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ন্যাশনাল ব্যাংকের আগে মেহমুদ হোসেন এনআরবি ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার এমডি ছিলেন।
প্রথম প্রজন্মের এই বেসরকারি ব্যাংকটি দেশের অসংখ্য উদ্যোক্তা সৃষ্টি করেছে। ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নুল হক সিকদার মারা যাবার পর ব্যাংকটির অবস্থা খারাপ হতে থাকে। গত এক বছরে ক্রমাগত আমানতকারীরা আমানত প্রত্যাহার এবং ব্যাংকে মন্দ ঋণ বেড়ে যাওয়ায় এসএলআর ঘাটতিতে পরে ব্যাংকটি। মেহমুদ যোগদানের পর এক বছরে তেমন অগ্রগতি দেখাতে পারেননি।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
বরিশালে এনসিপির পদযাত্রায় ২০ সহস্রাধিক জনতার জমায়াতের প্রস্তুতি
১
১৪৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে নতুন করে লেখালেন স্টার্ক
২
মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সময় ৯৬ বাংলাদেশি আটক
৩
চেয়ারে শহীদদের স্বজনেরা, মেঝেতে বসেন ৫ উপদেষ্টা
৪
শ্যামলীতে ছিনতাইকারীদের একজন গ্রেপ্তার, মোটরসাইকেল জব্দ
৫
নারীদের বীরত্বপূর্ণ অবদানে জুলাই উইমেন্স ডে উদযাপন
৬
এসএসসি-এইচএসসিতে ভালো ফল করা শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর
৭
মাকে জীবনের জন্য হুমকি দাবি, বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি ছেলে