বাণিজ্য চুক্তি ও বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে তিন আইনের সংস্কারের দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বেরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই দাবি জানিয়েছে ঢাকা চেম্বারের নতুন পরিচালনা পর্ষদের নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার।
এই আইনগুলো হলো সালিশ আইন ২০০১, দেউলিয়া আইন ১৯৯৭ এবং কোম্পানি আইন ১৯৯৪। এক্ষেত্রে উন্নত দেশের সংশ্লিষ্ট আইনের মান গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।
আইন সংস্কারের বিষয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সালিশ, দেউলিয়া ও কোম্পানি আইনের সংশোধনী ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে আনতে হবে। যাতে ব্যবসায়ীরা সহজে বণিজ্যিক চুক্তি কার্যকর করতে পারে এবং যে কোনো বাণিজ্যিক বিরোধ দ্রুত সমাধান করতে পারে। অস্থির বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলায় দেশে স্থানীয় ও বিদেশী বিনিয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি।
তিনি বলেন, ‘আইনগুলো সংস্কারের ফলে দেউলিয়া কোম্পানি পুনর্গঠন এবং দুর্বল কোম্পানি বন্ধের হাত থেকে রক্ষা পাবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে- বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা সহজ হবে।’
পাশাপাশি বিচারাধীন বাণিজ্যিক মামলার জট কমাতে একটি পৃথক ‘কমার্শিয়াল কোর্ট’ স্থাপনের জন্যও প্রস্তাব করেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি। একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে অতিদ্রুত, সমন্বিত ও কার্যকর ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস) কার্যক্রম চালুর দাবি করেন তিনি।
ডিসিসিআই মনে করে, এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য অবশ্যই ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘করোনা মহামারী এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতি একটি সংকটকালীন সময় অতিক্রম করছে। এই পরস্থিতিতে বৈদেশিক বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রবাহ দেশের কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।’ তিনি স্থানীয় ও সংযোগ শিল্প খাত সম্প্রসারণে উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান।
এসময় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলীসহ পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।