কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ : এক কিশোরকে খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা

সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণ : এক কিশোরকে খুঁজে পাচ্ছেন না স্বজনরা
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে এক কিশোরকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি স্বজনের। ওই যুবকের নাম আবদুল মালেক মিয়া (১৩)। মালেকের বাবা পরিচয় দেওয়া রতন মিয়া আজ শুক্রবার দুপুরে মুঠোফোনে বলেন, বিস্ফোরণের দিন গত মঙ্গলবার তার ছেলে বাসে করে মুন্সীগঞ্জ থেকে গুলিস্তানে নামার কথা। সেখান থেকে সে সাভারের হেমায়েতপুরে যাবে। কিন্তু বিস্ফোরণের ঘটনার পর থেকে ছেলেকে পাওয়া যাচ্ছে না। বাবা রতন আরও জানান, তাদের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সীপুর গ্রামে। তার ছেলে মালেক সাভারের হেমায়েতপুরের একটি ইটভাটায় কাজ করত। তার মা থাকেন মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলায়। সেখানে বেড়াতে গিয়েছিল মালেক। গত মঙ্গলবার মালেক টঙ্গিবাড়ী থেকে বাসে করে রওনা দেয়। তার গুলিস্তানে নামার কথা ছিল। গুলিস্তান থেকে অন্য বাসে উঠে তার হেমায়েতপুরে যাওয়া কথা। মালেকের বড় ভাই পরিচয় দেওয়া আবদুল খালেক মিয়া বলেন, বিস্ফোরণের ঘটনার সময় তার ভাই সিদ্দিকবাজার এলাকা দিয়ে যাচ্ছিল বলে তারা ধারণা করছেন। বিস্ফোরণের পর থেকে তারা তাকে পাচ্ছেন না। মালেককে না পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার টঙ্গিবাড়ী থানায় খালেক সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গিয়েছিলেন বলে জানান রতন। তিনি বলেন, জিডিটি নথিভুক্ত করা যায়নি। থানা থেকে বলা হয়েছে, তার জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। মালেকের ছবি লাগবে। কাল শনিবার আবার থানায় যাবেন তারা। বিস্ফোরণের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহায়তাকেন্দ্র ও নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য জানিয়েছিলেন স্বজনরা। তাদের দাবি অনুযায়ী, এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। মালেক ছাড়া অপরজনের নাম ইমতিয়াজ হোসেন সেলিম। ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম আজ শুক্রবার দুপুরে বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল নাগাদ দুটি পরিবারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, তখন পর্যন্ত তারা স্বজনের খোঁজ পায়নি। আমাদের কাছেও তাদের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই।’ গত মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের সাততলা ও পাঁচতলা দুটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুইন মার্কেটের সাততলা ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চমতলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়। এ ঘটনায় ২২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজীপুরে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

ডিআরইউ ক্রিকেটে কালবেলার বিশাল জয়, ম্যান অব দ্যা ম্যাচ শেখ হারুন

মেজর জলিল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি : রাশেদ প্রধান

মডেল-অভিনেত্রী জিনা লিমার রহস্যময় মৃত্যু

খাসোগি হত্যার বিষয়ে কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ : ট্রাম্প

তারেক রহমানকে নিয়ে ‘সংকট সংগ্রামে সাফল্য’ শীর্ষক তথ্যচিত্র মুক্তি পাচ্ছে বৃহস্পতিবার

তারেক রহমানের জন্মদিনে ছাত্রদলের দোয়া ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণের নির্দেশ

নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন : প্রধান উপদেষ্টা

‘আশুলিয়ায় ছয়টি মরদেহ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেন ওসি সায়েদ ও এএসআই বিশ্বজিৎ’

স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট আনতে গ্রামীণফোন ও বিএসসিএলের চুক্তি

১০

গ্রামীণ ব্যাংকে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ

১১

বিপিএল: বিশ্বকাপজয়ী মারকুটে ব্যাটারকে দলে ভেড়ানোর ইঙ্গিত ঢাকার

১২

সাংবাদিক সোহেলকে তথ্য যাচাইয়ের জন্য আনা হয়েছিল : ডিএমপি

১৩

শরীয়তপুরের উন্নয়নে কাঁধে কাঁধ মিলে কাজ করব : নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু

১৪

যুবদল নেতা হত্যা : শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘পাতা সোহেল’সহ গ্রেপ্তার ২

১৫

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বড় পরিবর্তন

১৬

লটারির মাধ্যমে ডিসি-এসপি বদলির দাবি গোলাম পরওয়ারের

১৭

গুগলের জেমিনি লাইভে এসেছে নতুন ৫ সুবিধা

১৮

প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র

১৯

কাভার্ডভ্যানে ধাক্কা দিয়ে নিজ ট্রাকেই প্রাণ গেল চালকের

২০
X