ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উত্তর সিটি এলাকা থেকে সংগৃহীত বর্জ্য সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে যাচ্ছে ডিএনসিসি। প্রকল্প চালু হলে ফেলে দেওয়া বর্জ্যই সম্পদে পরিণত হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে আয় করা সম্ভব হবে। শহর হবে পরিবেশবান্ধব।
আজ রোববার চীনের বেইজিংয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মুখপাত্র মকবুল হোসাইন জানান, রাজধানীর গাবতলী সংলগ্ন আমিনবাজার এলাকার ডিএনসিসির জায়গায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট তৈরি হবে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চায়না মেশিনারি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশনের (সিএমইসি) সঙ্গে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে ডিএনসিসি। চুক্তি অনুসারে, চীনা কোম্পানি নিজ ঝুঁকিতে প্ল্যান্ট স্থাপন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করবে। সিটি করপোরেশন প্রয়োজনীয় জমি ও নিয়মিত বর্জ্য সরবরাহ করবে। আর বিদ্যুৎ বিভাগ উৎপাদিত বিদ্যুৎ ক্রয় করবে।
বেইজিংয়ে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট পরিদর্শন শেষে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আগামী জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করার জন্য। ডিএনসিসিতে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদন হয়, এই বর্জ্য থেকে দিনে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমরা উৎপাদন করতে পারব, যা জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে যুক্ত হবে। ডিএনসিসিতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এটা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রকল্প হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। দেশ যত উন্নত হবে বর্জ্য তত বাড়বে। এই বর্জ্য পরিবেশের ক্ষতি করে, ক্ষতিকারক মিথেন গ্যাস তৈরি করে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ হবে। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আমরা বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রকল্প নিয়েছি। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় জটিলতা, পরিবেশ দূষণ কিছুই আর থাকবে না।