সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সহকারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
সাবেক উপাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সহকারীকে ধর্ষণের অভিযোগ
খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেছেন এক নারী। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মচারী। তিনি উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) ছিলেন। মামলায় ধর্ষণের ঘটনায় উপাচার্যের সহযোগী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারকেও আসামি করা হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক আব্দুস সালাম বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপাচার্য শহীদুর রহমান খান বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম তলায় অফিস ও বাসা নিয়ে থাকতেন। খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার তখন ভারপ্রাপ্ত ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। আনোয়ারের নির্দেশে প্রতিদিন উপাচার্যের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হতো ওই নারীকে। এ সুযোগে উপাচার্য তাকে বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিতেন। তাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতেনও। এ ছাড়া চাকরিতে উন্নতির প্রতিশ্রুতি দিতেন; পাশাপাশি চাকরির ভয়ও দেখাতেন।
একপর্যায়ে প্রলুব্ধ করে ওই নারীকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর অফিস কক্ষেই ধর্ষণ করেন শহীদুর রহমান। এ ঘটনার পর আসামিরা চাকরি যাওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে বিষয়টি কাউকে বলতে নিষেধ করেন। তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে শহীদুর রহমানের সঙ্গেই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ঘটনার ধারাবাহিকতায় স্ট্যাম্পে তাকে বিয়ে করার একটি অঙ্গীকারনামা লিখে দেন শহীদুর রহমান। আসামিদের পরামর্শে পরে স্বামীকে তালাকও দেন ওই কর্মচারী। এরপর বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর সঙ্গে মেলামেশা করতে থাকলেও শেষ পর্যন্ত খুলনা থেকে বদলি হয়ে যান শহীদুর রহমান এবং তার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। বিষয়টি সোনাডাঙ্গা থানায় জানানো হলেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। শেষ পর্যন্ত তিনি আদালতের দারস্থ হন।
ওই নারী বলেন, ২০২০ সালে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ২০২১ সালে কন্ট্রোলার হিসেবে দায়িত্ব পান। এরপর থেকেই তৎকালীন উপাচার্য তাকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করতে থাকেন। পরে ২০২২ এর মার্চে তাকে পিএ করা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স দেওয়ানো হয়েছে। সারা দেশে ঘুরিয়েছে। আমার একটা বাচ্চা আছে। আমি ওনাকে বলেছি মামলা করার বিষয়টি। তার উত্তরে জানানো হয়েছে যা পারো করো।’
মামলার স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ জানিয়েছেন, ‘ভুক্তভোগী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ। তাকে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ মামলা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করি।’
এ বিষয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘আমাকে ফাঁসানোর চক্রান্ত হচ্ছে। চাকরির সুবাদে সাবেক ভিসি কী করেছেন সেটি আমার জানার বিষয় না।’
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
আলভারেজের দাম বেঁধে দিল ম্যানসিটি
১
জোট বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় রাশিয়া-চীনের যুদ্ধবিমানের হানা
২
প্রাথমিক বিদ্যালয় কবে খুলবে সিদ্ধান্ত রোববার
৩
পাঁচ পদে ২০ জনকে নিয়োগ দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়
৪
মোবাইল ইন্টারনেট কবে চালু হবে, জানা যাবে কাল
৫
শিশু আহাদের দাফন দিয়ে বাড়িতে শুরু পারিবারিক কবরস্থানের
৬
প্যারিসে বেরসিক বৃষ্টিতে ভিজল বিশ্ব নেতারা
৭
শেখ হাসিনার অর্জন ধ্বংস করতে চায় হামলাকারীরা : ওবায়দুল কাদের
৮
ইরানের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছিলেন বাইডেন
৯
ইহুদিদের পছন্দ করেন না কমলা, বললেন ট্রাম্প
১০
ন্যাটোর আদলে সামরিক জোট গঠনের প্রস্তাব ইসরায়েলের
১১
যানজট সরিয়ে ভোগান্তি দূর করেন নবরু
১২
বর্ষায় জমে উঠেছে চাক জালের হাট
১৩
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
১৪
সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
১৫
ঝালকাঠিতে গভীর নলকূপে পানির সংকট
১৬
ব্যাট-বলে সাকিবকে শরীফুলের টেক্কা
১৭
দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এমন সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
১৮
রাজবাড়ীতে ভাড়ায়চালিত বাইকারের বিরুদ্ধে যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ