হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন অস্থায়ী সিএনজি স্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘঠনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি আজমিরীগঞ্জের শিবপাশায় গঠিত সিএনজি সমিতি থেকে কিছু শ্রমিক নতুন করে আরেকটি সমিতি গঠন করেন। নতুন সমিতি নিবন্ধনের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদনও করছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজি স্ট্যান্ডে আজমিরীগঞ্জ সমিতির সিএনজিচালকদের যাত্রী উঠানোর সিরিয়াল দেওয়া নিয়ে শিবপাশা সমিতির সঙ্গে বিবাদের সৃষ্টি হয়। ওই সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দুপুর ২টা পর্যন্ত দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করেছিল।
এক সিএনজিচালক জানান, উপজেলায় প্রায় ১৭০টি সিএনজি রয়েছে। প্রতিদিন পাশের বানিয়াচং উপজেলা এবং হবিগঞ্জ সদর থেকে আরও শতাধিক সিএনজি আজমিরীগঞ্জে চলাচল করে। প্রতি সিএনজি চালককে আজমিরীগঞ্জ থেকে বানিয়াচং-হবিগঞ্জ যেতে প্রতিবার সমিতির নিয়োগকৃত সুপারভাইজারকে দিতে হয় ২০ টাকা করে। এতে প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জমা হয় সুপারভাইজারের কাছে।
জমাকৃত টাকা থেকে প্রতি মাসে সমিতিকে দিতে হয় ৩০ হাজার টাকা। বিভিন্ন খরচ বাদে যে টাকা থাকে সেই টাকা আজমিরীগঞ্জ এবং শিবপাশার দুই স্ট্যান্ডে থাকা সুপারভাইজাররা পান। মূলত সেই টাকার ভাগ পেতেই এই দ্বন্দ্ব।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মাসুক আলী জানান, সিএনজি স্ট্যান্ড নিয়ে মালিক-শ্রমিক সমিতির দুটি গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।