৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ : দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ : দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের বিষয়ে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে (বিসিআইসি) ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দুদককে এ বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৯ অক্টোবর ‘পোটনের পেটে ৫০৮ কোটি টাকার সার’ শিরোনামে দৈনিক কালবেলায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাতের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
‘৫৮২ কোটি টাকার সার আত্মসাৎ’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলোতে আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রতিবেদনটি নজরে আনলে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রতিবেদনের একাংশে বলা হয়, সরকারিভাবে আমদানি করা ৭২ হাজার টন রাসায়নিক সার বন্দর থেকে খালাসের পর গুদামে পৌঁছে না দিয়ে আত্মসাৎ করেছে পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স পোটন ট্রেডার্স। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৫৮২ কোটি টাকা।
মেসার্স পোটন ট্রেডার্স সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল আশরাফ খানের (পোটন) মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। কামরুল আশরাফ খান সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের দাবি, তিনিই মূলত দেশে সারের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন।
পোটন ট্রেডার্স যে সার আত্মসাৎ করেছে, তা উঠে এসেছে সারের আমদানিকারক শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি প্রতিষ্ঠান রসায়ন শিল্প সংস্থার (বিসিআইসি) দুটি তদন্তে। সারগুলো খালাস হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৫ মের মধ্যে। সার সরবরাহ না করার পর সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি বিসিআইসি। সর্বশেষ গত ২০ ডিসেম্বর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে বিসিআইসির পক্ষ থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
কুর্দিদের প্রতি এরদোয়ানের ক্ষোভের মূল কারণ
১
কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীদের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
২
যুব মহিলা লীগ নেত্রী সাজেদা গ্রেপ্তার
৩
ঝিনাইদহে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
৪
৯৯৯ থেকে কল এলে সাবধান, পুলিশের সতর্কবার্তা
৫
চাচাকে বাবা বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রশাসন ক্যাডার কামাল হোসেন
৬
সাংবাদিকদের কেউ হুমকি দিলে আমাদের জানাবেন : সারজিস
৭
অফিসের পথে লটারি কিনে জিতলেন ৩৬ লাখ টাকা!
৮
ক্ষমতার লোভে স্বৈরাচারী আচরণ করবেন না : গিয়াস উদ্দিন