সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে এক লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় জামিনের পর কারামুক্ত হয়েছেন সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল।
আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের হাজতখানা থেকে মুক্ত হন। এর আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন আসামি নোবেলকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির সময় মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এ সময় বাদী আদালতকে বলেন, ‘তিনি টাকা বুঝে পেয়েছেন। জামিন দিলে তার কোনো আপত্তি নেই।’ এরপর আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
কারামুক্তির পর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নোবেল বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে ও শরীয়তপুরে গিয়ে দুটি কনসার্ট করে দেব, যা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তাই সুন্দর প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমরা কনসার্ট করে দেব।’
এ মামলায় গত ১৯ মে রাতে নোবেলকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ২০ মে শেষে আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১৬ এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরদিন ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ-২০১৬ এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যোগাযোগের পর নোবেল রাজধানীর হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলেন। গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান। এরপর গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে গান গাওয়ার জন্য মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়৷ এ সময় নোবেল অনুষ্ঠানের পূর্বেই অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর দেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই ব্রাঞ্চ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল জেনেশুনে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
১
সন্ধ্যার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা
২
ঝালকাঠিতে গভীর নলকূপে পানির সংকট
৩
ব্যাট-বলে সাকিবকে শরীফুলের টেক্কা
৪
দেশকে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতি বানাতেই এমন সহিংসতা: প্রধানমন্ত্রী
৫
রাজবাড়ীতে ভাড়ায়চালিত বাইকারের বিরুদ্ধে যাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ