কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:১৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ঘরে থেকেই সাজাভোগ কার্যকরে হাইকোর্টের নির্দেশ

ঘরে থেকেই সাজাভোগ কার্যকরে হাইকোর্টের নির্দেশ
আসামিদের প্রবেশনে পাঠানোর (ঘরে থেকেই সাজা ভোগের সুযোগ) আইন কার্যকর করতে চার বছর আগে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে একটি সার্কুলার জারি করা হয়। কিন্তু প্রবেশনে পাঠানোর বিধান ততটা কার্যকর হয়নি। এ অবস্থায় গতকাল সোমবার প্রবেশনের বিধান কার্যকরের দাবিতে এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে অধস্তন আদালতকে উপযুক্ত মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রবেশন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রবেশনে আসামিরা ঘরে বসেই একজন সমাজসেবা অফিসারের তত্ত্বাবধানে সাজা খাটার সুযোগ পেয়ে থাকেন। সুপ্রিম কোর্টের ১১ আইনজীবীর করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মাদ মিসবাহ উদ্দিন ও মো. আশরাফুল ইসলাম। আসাদ উদ্দিন বলেন, হাইকোর্ট দণ্ডপ্রাপ্তদের প্রবেশন দিতে অধস্তন আদালতকে নির্দেশনা দিয়ে রুল জারি করেছেন। রুলে পৃথক প্রবেশন বিভাগ প্রতিষ্ঠার আদেশ কেন দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের জন্য রুল জারি করেন। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী পুরুষ আসামির ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দণ্ডবিধির নির্দিষ্ট কয়েকটি ধারায় দণ্ড ছাড়া যে কোনো দণ্ডের ক্ষেত্রে প্রবেশন পেতে পারে। মহিলা আসামির ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বাদে যেকোনো দণ্ডের ক্ষেত্রে প্রবেশন পেতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, অত্যন্ত অল্প দণ্ডের মামলাও ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে দায়রা আদালত, হাইকোর্ট বিভাগ ঘুরে আপিল বিভাগ পর্যন্ত চলে আসছে। অথচ এমন অসংখ্য মামলা আছে, যেগুলোতে প্রবেশন আদেশ হলে প্রথম কোর্টেই শেষ হয়ে যেতে পারত। এমনিভাবে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসময় যায়। মামলা জট তৈরি হয়। এসব বিষয় উল্লেখ করে হাইকোর্টে ১১ জন আইনজীবী রিট করেন। এর আগে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ সালের ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স’-এর অধীনে ছোটখাটো অপরাধের আসামিদের প্রবেশনে পাঠানোর বিধান কার্যকর করতে সারা দেশের বিচারকদের নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে। এরপর থেকেই আইনটির প্রয়োগে কিছুটা গতি আসে। সুপ্রিম কোর্টের ওই সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার প্রায় সব ক্ষেত্রেই দণ্ডিতদের সাজাভোগের নিমিত্তে কারাগারে পাঠানো হয়। এতে দেশের কারাগারগুলোয় সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীর সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়াসহ দেশের একটি আইনের বিধানকে সরাসরি অবজ্ঞা করা হচ্ছে। ফলে কারাগারের পরিবেশসহ সমাজে এক নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি হতে চলেছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ‘দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৬০’-এর বিধানাবলির যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। প্রবেশনের সুযোগ পাবেন যারা—কোনো পুরুষ ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ষষ্ঠ (রাষ্ট্রবিরোধী) ও সপ্তম অধ্যায়ের (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সংক্রান্ত) অপরাধ বা দণ্ডবিধির ২১৬ (ক), ৩২৮, ৩৮৬, ৩৮৭, ৩৮৮, ৩৮৯, ৩৯২, ৩৯৩, ৩৯৭, ৩৯৮, ৩৯৯, ৪০১, ৪৫৫, ৪৫৮ ধারার অপরাধ অথবা মৃত্যুদণ্ড কিংবা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় অপরাধ ব্যতীত অন্য কোনো দণ্ডনীয় অপরাধে দণ্ডিত হলে এই আইনে সুবিধা পাবেন। কোনো নারী মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার মতো অপরাধ ব্যতীত অন্য কোনো দণ্ডনীয় অপরাধে দণ্ডিত হলে অপরাধের প্রকৃতি, পারিপার্শ্বিকতা, অপরাধীর চরিত্র ইত্যাদি বিবেচনা করে আদালত শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে প্রবেশনে পাঠাতে পারেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

চাল না পেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন ভুক্তভোগীরা

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : আব্দুল হালিম

গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ের পাশে ককটেল বিস্ফোরণ, তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ

আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস

স্ত্রী-সন্তানসহ প্রবাসীর মৃত্যু, কেয়ারটেকারকে ঘিরে সন্দেহ

৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

শাহজালাল বিমানবন্দরে অতিরিক্ত নিরাপত্তায় ৬ নির্দেশনা

খালসহ ১০টি জলমহাল উন্মুক্ত করলেন খুলনার জেলা প্রশাসক

৩০ আগস্ট ইতালির প্রধানমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

জুলাই শহীদদের স্মৃতি স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন

১০

বছর ঘুরে ফিরল সেই জুলাই 

১১

৩৬ জুলাই বিপ্লব ও নির্মম নির্যাতনের মধ্যেও বেঁচে ফেরার গল্প

১২

৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ / এস আলম পরিবারের তিন সদস্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে দুই মামলা

১৩

খুবির দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলনকে কটাক্ষের অভিযোগ

১৪

রাজশাহীতে ঐতিহাসিক ‘সান্তাল হুল’ দিবস উদযাপন

১৫

২৯৫ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করল চসিক

১৬

যে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেন ইউনূস-রুবিও

১৭

করোনার ‘ভুল রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণা’, অতঃপর...

১৮

ইরানে একাধিক ইউরোপীয় নাগরিক গ্রেপ্তার

১৯

ঢাবি শিক্ষার্থী সৌমিকের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা

২০
X