জাহাঙ্গীরনগরের সেই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
জাহাঙ্গীরনগরের সেই শিক্ষকের বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ
ছাত্রীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের দায়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা।
আজ রোববার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীরা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো- জনির দায়মুক্তির ষড়যন্ত্রে প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরের সংশ্লিষ্টতার তদন্ত করা এবং শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ সাপেক্ষে এক মাসের মধ্যে শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা।
জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, ‘শিক্ষকদের যেখানে জ্ঞানের কথা বলার কথা, সেখানে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা যেমন মার্ক বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে শিক্ষক বানানোর প্রলোভন দেখানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি ছাত্রদের ‘ফকিন্নির বাচ্চার’ মতো শব্দ উচ্চারণ করে অশিক্ষকসুলভ আচরণও করছেন। যার কাছে আমরা বিচার চাইতে যাব, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে যিনি সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছেন তার বিরুদ্ধেই অভিযোগকারীকে জোরপূর্বক দায়মুক্তিপত্র লেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি তার অপকর্ম দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অপকর্মের আতুড়ঘরে পরিণত করেছে। তিনি স্পষ্টত আইন লঙ্ঘন করেছেন। তবে তার অপরাধ তদন্তের ক্ষেত্রে নিজ দলীয় লোক দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা সাদা কাগজের রিপোর্ট প্রদান করেছেন। ফলে সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি।’
জাবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, ‘নারী নিপীড়ন ও একাডেমিক কেলেঙ্কারির সাথে যুক্ত শিক্ষক কীভাবে ক্যাম্পাসে বিনা বিচারে থাকতে পারে তা বুঝতে পারি না। তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা যাচাই কমিটিকে প্রথম থেকেই ভয় পাচ্ছিলাম কারণ তারা ছিল দলীয় লোক। এই প্রহসনমূলক তদন্তের নিন্দা জানাচ্ছি৷
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা অনুষদে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবি এবং সঠিক তদন্ত না হলে সিন্ডিকেট সভার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও করার হুমকি দেন প্রগতিশীল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
ফেসবুকে প্রেম, দেখা করতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার