সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
প্রভোস্টের আশ্বাসে হলে ফিরেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রীরা। গতকাল বুধবার রাত ২টার দিকে তারা ফিরে যান।
এর আগে নবনির্মিত আবাসিক হলে সব ছাত্রীর আবাসনের দাবিতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে ফজিলাতুন্নেসা হলের সামনে অবস্থান নেন তারা। হলের প্রভোস্ট ও প্রক্টর বিষয়টি মীমাংসা করতে এলে ছাত্রীরা তাদের অবরুদ্ধ করে পাঁচ দফা দাবি জানান।
দাবি পাঁচটি হলো :
১. ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে ফজিলাতুন্নেসা হলের সব ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. প্রথমে উদ্বোধন করা হলের নাম ফজিলাতুন্নেসা রাখতে হবে।
৩. সিট বণ্টনের সময় ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রীদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরে অন্যদের সুযোগ দিতে হবে।
৪. অবশ্যই সব ছাত্রীকে একসঙ্গে স্থানান্তর করতে হবে।
৫. বৃহস্পতিবারের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
এর আগে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে প্রভোস্টদের সভা হয়। সভায় নবনির্মিত দুটি ছাত্রী হলে বিভিন্ন বর্ষের ১০০ জন করে ছাত্রী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্থানান্তরের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা ২২ নভেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রার অফিসের শিক্ষা শাখায় জমা দিতে বলা হয়। এই সিদ্ধান্ত জানার পর ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রীরা আন্দোলনে নামেন।
৪৮ ব্যাচের ছাত্রী মনি নাসরিন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের হলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জরাজীর্ণ অবস্থা ফজিলাতুন্নেসা হলের৷ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও গণরুমে থাকছি। হলের পলেস্তারা খসে পড়ছে, ডাইনিং চালু নেই। প্রায় ৬০০ ছাত্রী এখানে গাদাগাদি করে থাকে।
‘অন্য হলগুলো, যেখানে কোনো আবাসন সংকট নেই, তাদের কেন নতুন হলে উঠতে দেওয়া হবে? নতুন হলে ফজিলাতুন্নেসা হলের ছাত্রীরাই সবচেয়ে বেশি দাবিদার।’
৪৯ ব্যাচের ছাত্রী তানজিলা তাবাসসুম তন্দ্রা বলেন, ‘আমাদের যাদের হলের মূল ভবনে জায়গা হয়নি, তাদের প্রভোস্ট কোয়ার্টারে থাকতে হয়। একটা ফ্ল্যাটে আমরা ৬০ জন থাকছি। সেখানে পর্যাপ্ত টয়লেট নেই, ডাইনিং নেই। যেসব মেয়ে কোয়ার্টারে থাকে, তারা হলের চেহারাই দেখে নাই৷ অন্যদের আগে আমাদের নতুন হলে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে।’
এ বিষয়ে ফজিলাতুন্নেসা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা ছাত্রীদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছি। নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রভোস্ট কমিটিকে আবার বসতে হবে। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নেব।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, ‘আমি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা বারবার বলছি, ছাত্রীরা নতুন হলে যাবেই। ৩০ নভেম্বর যেটা উদ্বোধন করা হবে, সেখানে আপাতত ১০০ জন করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ক্রমান্বয়ে বাকিদেরও শিফট করা হবে।’
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
‘ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াও আমাদের দিনে দাঁড়াতে পারবে না’
১
রিপন মিয়াকে প্রাণনাশের হুমকি
২
ঢাবি সাদা দলের বিবৃতি / এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের ওপর আক্রমণ অপ্রত্যাশিত
৩
৪৮ জেলার ৪৩৫ স্পটে হত্যাকাণ্ড ঘটায় পুলিশ-যুবলীগ : তাজুল ইসলাম
৪
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার
৫
ইয়ামালের জন্য আল হিলালের ৫২৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব!
৬
অতিরিক্ত সিম স্বেচ্ছায় বাতিল না করলে যা করবে বিটিআরসি
৭
‘দ্বাদশ ব্যক্তি’ হামজাদের প্রতিপক্ষ
৮
জনগণের আমানত রক্ষায় জমিয়ত সর্বদা সচেষ্ট থাকবে : মোহাম্মদ আলী
৯
স্বর্ণে সর্বোচ্চ দামের নতুন ইতিহাস, ভরি কত
১০
অসুস্থ নাতনিকে দেখতে যাওয়ার পথে প্রাণ গেল নানা-নানির
১১
এবার রুপার দামেও নতুন রেকর্ড
১২
ডিএসসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহীসহ ৬ জনের নামে মামলা
১৩
কেশবপুরে মন্দির থেকে স্বর্ণালংকার, শালগ্রাম শিলা চুরি
১৪
সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার আগে যা ভাবতে বললেন নুর
১৫
অনলাইন জুয়া চক্রের শীর্ষ এজেন্ট লিপু রিমান্ডে
১৬
ভারতীয় নাগরিক জগদীশকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
১৭
পবিপ্রবিতে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘পর্দা কর্নার’ চালু