জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

জাবিতে যৌন নিপীড়ক শিক্ষকের অপসারণ দাবি

জাবিতে যৌন নিপীড়ক শিক্ষকের অপসারণ দাবি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষক ও সহকারী প্রক্টর মাহমুদুর রহমান জনিকে সব একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম থেকে অপসারণ দাবি জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করেন তারা। মানববন্ধনে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সামী আল জাহিদ প্রীতমের সঞ্চালনায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি সংসদের সভাপতি আবু সায়েম বলেন, আজকের অভিযুক্ত শিক্ষক পদ-পদবির লোভ দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে প্রলুব্ধ করছে। আজ যারা শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে তাদের শাস্তি হোক। অভিযুক্ত শিক্ষককে নৈতিক স্খলনের দায়ে প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক এবং তদন্তসাপেক্ষে তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানাই। ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আলিফ মাহমুদ বলেন, আজকে একটি লজ্জাজনক অধ্যায়ের সাক্ষী হয়ে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। শিক্ষকরা নৈতিকতার শিক্ষা দেন। কিন্তু ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান শিক্ষক মাহমুদুর রহমান জনি নৈতিকতাকে জলাঞ্জলি দিয়ে অনৈতিক উপায়ে শিক্ষক নিয়োগে জড়িত থাকার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আজ সেই শিক্ষকের অব্যাহতির দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছি। তিনি আরও বলেন, মাহমুদুর রহমান জনি সহকারী প্রক্টরের দায়িত্বে থাকায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে আছে। একজন নিপীড়নকারী কখনো সহকারী প্রক্টরের মতো দায়িত্বে থাকতে পারেন না। মাহমুদুর রহমান জনি ইস্যুতে প্রশাসনের নিশ্চুপ ভঙ্গি আমাদের লজ্জিত করে। তাকে দ্রুত সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে অব্যাহতিপূর্বক তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানাই। সমাপনী বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচী বলেন, আমি তার সব পরিচয় ভুলে গিয়েও যদি একজন শিক্ষক হিসেবে দেখি তাহলে সেটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। একজন শিক্ষক আমাদের নৈতিকতার শিক্ষা দিবেন এটাই কাম্য। কিন্তু তিনি অনৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন। আজকে একটা মহল এ ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বলছে এটা মিথ্যা, এ ঘটনার কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই জানে এটা সত্য। বিশ্ববিদ্যায়লের প্রশাসন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত করবে। তার কর্মকাণ্ড শিক্ষার পরিবেশকে ব্যাহত করে প্রশাসনিক কাজকে ব্যাহত করে। তাকে সব প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সৌমিক বাগচী বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো গড়িমসি করা হলে আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানাতে চাই যে, অতীতে জাহাঙ্গীরনগরে কোনো নিপীড়নকারীর ঠাঁই হয়নি, এবারও হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে যাব। উল্লেখ্য, ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন এবং তাকে নিজ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ উঠেছে সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান জনির বিরুদ্ধে। মাহমুদুর রহমান জনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সহায়তায় প্রেভেইল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ 

‘যারা ফ্যাসিস্ট তাদের আমরা আইনের আওতায় আনব’

কর কর্মকর্তা মাসুদুর রহমানকে বরখাস্ত

নুরের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজধানীতে মশাল মিছিল  

হংকংকে বিদায় করে সুপার ফোরে এক পা লঙ্কানদের

প্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দূতাবাসে বদলি

মতামত ছাড়া বিভাগের প্রস্তাবনা, ঐকমত্য কমিশনকে লিগ্যাল নোটিশ 

আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রদল নেতা

তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুর্গাপূজার ছুটি কবে থেকে শুরু

১০

ডাকসুর ভোট এবার ম্যানুয়ালি গণনার জন্য উমামার লিখিত আবেদন

১১

আরও বাড়ল ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ

১২

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরুর আগে রিয়াল শিবিরে সুসংবাদ

১৩

সাতক্ষীরায় ৭ বস্তা পলিথিন পোড়ালেন ভ্রাম্যমাণ আদালত

১৪

‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা

১৫

এক দিনে ২৬ ব্যাংক থেকে ৩৫ কোটি ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক

১৬

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক / ছয় লেনের পদক্ষেপ না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

১৭

আদালতের বারান্দায় নৃশংস হামলা, বিচার চেয়ে কাঁদল ভুক্তভোগী পরিবার

১৮

এবার হরতালের ডাক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার-বস্তিবাসীর 

১৯

বিদেশি নয়, মন টানে দেশি ছেলেই : সেমন্তী সৌমি

২০
X