টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার শিক্ষাবিষয়ক ‘এসডিজি-৪’ অর্জনে কার্যকর কৌশল নির্ধারণের অংশ হিসেবে আগামী শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘সাসটেইনেবল টেকনোলজিস ফর ইন্ডাস্ট্রি (এসটিআই) ৪.০’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
বিশ্বের ৩৫টির বেশি দেশের বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, গবেষক, সরকারি কর্মকর্তা, ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত কর্মকর্তা এবং নীতিনির্ধারকদের তথ্য আদান প্রদানসহ বহিঃবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করার লক্ষ্যে সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ।
সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সম্মেলনের জেনারেল চেয়ার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, অর্গানাইজিং চেয়ার ও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সাইফুল আজাদ, কো-চেয়ার ও ইইই বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ এস এম শিহাবুদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এতে বলা হয়, সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন গবেষকরা অংশ নেবেন। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা—আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এই অনুষ্ঠান চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অঙ্গণে প্রথম সারির সম্মেলন হিসেবে রূপ পাবে।
আয়োজক কমিটি জানান, সম্মেলনে মূলত ৩টি পৃথক ট্র্যাক প্রাধান্য পাবে। এর মধ্যে রয়েছে—ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং, নেটওয়ার্ক অ্যান্ড সিকিউরিটি সিস্টেমস এনার্জি, রোবটিক্স, ইলেক্ট্রনিক্স, সেন্সরস অ্যান্ড কমিউনিকেশন এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং।
এর আগে সম্মেলনে উপস্থাপনের জন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৭৬টি গবেষণা প্রবন্ধ জমা পড়ে যা থেকে ১৩৪টি প্রবন্ধ নির্বাচিত হয়। সম্মেলনে উপস্থাপিত মোট ৩টি প্রবন্ধ ও পোস্টার পেপার প্রেজেন্টেশন ‘বেস্ট পেপার’ হিসেবে নির্বাচিত হবে এবং বাছাইকৃত প্রবন্ধগুলো আইইইই এক্সপ্লোর ডিজিটাল লাইব্রেরিতে স্থান পাবে।
আয়োজকরা জানান, এসটিআই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো—শিল্প বিপ্লবের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষক ও অনুশীলনকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে গবেষণাপত্র উপস্থাপন, নতুন আইডিয়া তৈরি, সাসটেইনেবল টেকলোজির চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের উপায়সংক্রান্ত নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে। যা মূলত চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।