সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব-নিকাব পরার পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে এবার অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধন করল কিছু ছাত্রী। আজ সোমবার দুপুরে 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ'-এর ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছে তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সম্প্রতি বাংলা বিভাগের পক্ষ থেকে দেয়া একটি নোটিশ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। নোটিশে পরিচয় শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার অজুহাতে সব ধরণের পরীক্ষা ও সংযোগ ক্লাসে বিভাগের সকল শিক্ষার্থীকে কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখার কঠোর নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এই নোটিশের ফলে বিভাগের প্র্যাক্টিসিং মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে। এই নোটিশের মাধ্যমে তাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। আমরা মুসলিম হিসেবে এই ঘটনায় মারাত্মক ভাবে ব্যথিত হয়েছি এবং এটিকে ঘিরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের দানা বেঁধেছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান এবং আমাদের ধর্মীয় ও সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠার তাগিদে আপনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশা করছি।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে তারা একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের এক বোনের সাথে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে তা নয়। অনেকের সাথে এ ধরনের ঘটে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করে না। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত। এর মধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করা হয়েছে বলে আমরা মনে করি। বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মের স্বাধীনতা কেন থাকবে না।
তারা আরও বলেন, এটি হিজাব বিদ্বেষী সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছু নয়। এর কারণে মুসলিম নারীরা ঝরে পড়বে। কারণ, একজন প্রকৃত মুসলিম নারীরা কখনো তাদের চেহারা কাউকে দেখায় না। তাই আমরা অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় তারা পাঁচ দফা দাবি জানান। তাদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বাংলা বিভাগ কর্তৃক পরীক্ষা চলাকালীন কানসহ মুখমণ্ডল দৃশ্যমান রাখা সংক্রান্ত নোটিশ বাতিল করতে হবে। পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় পরীক্ষার পূর্বেই নারী কর্মচারী কিংবা নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে আলাদা রুমে হিজাব ও নিকাব পরিহিতাদের পরিচয় শনাক্ত করার ব্যবস্থা চালু করতে হবে। দ্রুততম সময়ে সকল অনুষদের সকল বিভাগে হিজাব-নিকাব পরিধানকারী শিক্ষার্থীদেরকে হেনস্থা করা বন্ধে নোটিশ প্রদান করতে হবে। বিভিন্ন সময়ে ক্লাসরুমে, ভাইবা বোর্ডে অথবা পরীক্ষার হলে নিকাব খুলতে বাধ্য করা অথবা কটূক্তির মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের শ্রীলতাহানি করার মতো ঘটনাগুলো তদন্তপূর্বক বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। হিজাব বা নিকাব পরিধানে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় বিধিতে ধারা যুক্ত করতে হবে এবং ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ঘটনায় বারে পড়া শিক্ষার্থীদের পুনরায় ফিরিয়ে এনে অথবা ভিন্ন উপায়ে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
চাঁদাবাজি হারাম, ৪ ধরনের শাস্তির বিধান ইসলামে
১
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যা : নোয়াখালীতে এনসিপি ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
২
সাতসকালে দিল্লিতে ভবন ধস, চাপা পড়ে আছে অনেকে
৩
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা অব্যাহত থাকবে
৪
স্কয়ার গ্রুপে চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা
৫
এয়ার ইন্ডিয়ার সেই বিমান বিধ্বস্তের প্রতিবেদনে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
৬
সাংবাদিক দেখে বিয়ের আসর ছেড়ে পালালেন ভারতীয় যুবক