সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাইতে না গিয়ে ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সংগীতশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন আসামি নোবেলকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক হুমায়ুন কবির তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে তার আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানির সময় মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বাদী আদালতকে বলেন, তিনি টাকা বুঝে পেয়েছেন। জামিন দিলে তার কোনো আপত্তি নেই। এরপর আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ২০ মে শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রতারণার অভিযোগে গত ১৬ মে রাজধানীর মতিঝিল থানায় শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রতিনিধি মো. সাফায়েত ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরদিন ১৭ মে আদালত এ মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি ব্যাচ ২০১৬-এর প্রথম পুনর্মিলনী আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার জন্য নোবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। যোগাযোগের পর নোবেল রাজধানীর হিরাঝিল হোটেলের দ্বিতীয় তলায় যেতে বলে। গত ২৫ মার্চ মামলার বাদী সাফায়েত ইসলাম ও তার বন্ধু হাবিবুর রহমান দুজন সেখানে যান। এরপর গান গাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে গান গাওয়ার জন্য মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঠিক করা হয়। তখন নোবেলকে নগদ ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়৷ এ সময় নোবেল অনুষ্ঠানের পূর্বেই অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ করতে হবে বলে জানান এবং তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, এসএসসি ব্যাচের সদস্যদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে গত ৩০ মার্চ সিটি ব্যাংক এটিএম বুথ শরীয়তপুর ব্রাঞ্চ থেকে ৪৭ হাজার টাকা পাঠানো হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল একই ব্রাঞ্চ থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা নোবেলের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। অনুষ্ঠান উপলক্ষে তাকে সর্বমোট ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল। তবে নোবেল জেনেশুনে অনুষ্ঠানে না গিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেন।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
ঝকঝকে দাঁত পেতে কতটুকু মাজন প্রয়োজন? যা বলছেন চিকিৎসকরা
১
কেরানীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে অগ্নিসংযোগ
২
১৭ বছর পর তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে যে কথা হলো চসিক মেয়রের
৩
ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন কালবেলার শেখ হারুন
৪
তিন ম্যাচে ২৬ গোল হজম করে বাংলাদেশের লজ্জার সমাপ্তি
৫
অর্থ মন্ত্রণালয়ের জরুরি সতর্কবার্তা
৬
অবশেষে শাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা
৭
মার্কিন এফ-৩৫ পেতে সৌদির ওপর ইসরায়েল নিয়ে কঠিন শর্ত
৮
১৮ ডিসেম্বর মেহজাবীনের জবাব দাখিলের নির্দেশ আদালতের