রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতায় ভোগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪২ শতাংশ শিশু
সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতায় ভোগে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৪২ শতাংশ শিশু
সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষ হাইপোক্সিমিয়ায় (রক্তে অক্সিজেন স্বল্পতা) আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ২ লাখই শিশু। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে নিউমোনিয়া নিয়ে আসা শিশুর প্রায় ৪২ শতাংশই হাইপোক্সিমিয়ায় ভোগে।
আইসিডিডিআর,বি এবং ডেটা ফর ইমপ্যাক্টের যৌথ আয়োজনে আজ বুধবার মেডিকেল অক্সিজেন নিরাপত্তা বিষয়ে গবেষণার ফলাফলভিত্তিক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য জানান।
বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসকে সামনে রেখে আইসিডিডিআর,বি’র মহাখালী ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সঙ্গে এ সভায় আলোচনায় অংশ নেন আইসিডিডিআর,বি‘র জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মাদ যোবায়ের চিশতি, জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. কান্তা জামিল, ড. ফিদা মেহরান, জ্যেষ্ঠ পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন, গবেষণা প্রধান ড. কামরুন নাহার, সহযোগী বিজ্ঞানী ড. আহমেদ এহসানুর রহমান, ডেটা ফর ইম্প্যাক্টের বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. মিজানুর রহমান, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সুস্মিতা খান প্রমুখ।
আলোচনায় মেডিক্যাল অক্সিজেন নিরাপত্তাসহ বাংলাদেশের সার্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে স্বল্প মূল্যে উদ্ভাবনের উপর গুরুত্ব দেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেডিকেল অক্সিজেন নিরাপত্তাবিষয়ক ‘দ্য ল্যানসেট গ্লোবাল হেলথ কমিশনে’ ২০২৪ সালের জন্য বাংলাদেশ সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করবে।
বক্তারা বলেন, আমাদের চারপাশের বাতাসে অক্সিজেনের পরিমান ২১ শতাংশ এবং আমাদের শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য বাতাসে মাত্র ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ অক্সিজেনের প্রয়োজন পরে। কিন্তু যাদের রক্তে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়। রক্তে অক্সিজেন কম থাকার স্বাস্থ্য সমস্যাটিকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় হাইপোক্সিমিয়া। সারা বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৭ কোটি ৩০ লাখ মানুষ হাইপোক্সিমিয়ায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে ৩ কোটি ২ লাখই শিশু। বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অবকাঠামো অনুযায়ী, মাধ্যমিক স্তরের স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্রে নিউমোনিয়া নিয়ে আসা শিশুর প্রায় ৪২ শতাংশই হাইপোক্সিমিয়ায় ভোগে।তারা আরও বলেন, নিউমোনিয়া, ম্যালেরিয়া, সেপসিস, যক্ষ্মা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি, হৃদরোগ এবং হাঁপানিসহ নানা কারণে হাইপোক্সিমিয়া হতে পারে। হাইপোক্সিমিয়ায় আক্রান্ত যে কোন রোগীর জন্য চিকিৎসা হিসাবে অক্সিজেন থেরাপি প্রয়োজন। তাদের অক্সিজেন প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এস এম সুলতান : তুলির রেখায় গ্রামীণ মহাকাব্যের রূপকার
১
জাল রায় তৈরি / জামিন মেলেনি খায়রুল হকের
২
পিআর পদ্ধতি চালুর দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা জামায়াতে ইসলামীর
৩
ফের ডলার কিনল বাংলাদেশ ব্যাংক
৪
ইসির প্রাথমিক বাছাইয়ে ১৬ দল উত্তীর্ণ
৫
৪০ হাজার টাকা বেতনে ভিভো-তে কাজের সুযোগ
৬
ঋতুপর্ণাদের পর এবার সাগরিকারাও খেলবে এশিয়ান কাপে
৭
সচিবালয় কর্মচারীদের পদের নাম পরিবর্তনে ৯ যৌক্তিকতা