দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, ‘সঠিক মনিটরিংয়ের ফলে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের সময় উপকূলীয় এলাকার ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের গতিপথ বিক্ষিপ্ত থাকায় মাত্র সাড়ে ১০ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া গেছে। তাই দুর্যোগ মোকাবিলায় শুধু দেশীয় নয়, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।’
আজ সোমবার ঢাকায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘সাইক্লোন সিত্রাং লেসন লার্নড ওয়ার্কশপ’ এ এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় দুর্যোগে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পূর্বাভাসভিত্তিক পর্যবেক্ষণ বাড়ানোরও আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাবের সভাপতিত্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উপমহাসচিব সুলতান আহমেদ, আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশন (আইএফআরসি’র) হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কুমার কাফলে, বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও বিডিআরসিএস’র বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি তার বক্তৃতায় বলেন, যে কোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতিই মূল চাবিকাঠি। ঘূর্ণিঝড়সহ যে কোনো দুর্যোগ ও জরুরি পরিস্থিতিতে সব ধরনের সহায়তা দিতে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি সদা প্রস্তুত। সিত্রাংয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আরও সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম। সেমিনারে বক্তারা দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও দুর্যোগ পরবর্তী যোগাযোগ ব্যবস্থা জোরদারে এবং সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতি অনুমান করে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবার মনোভাব বাড়াতে জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী নীতিমালার খসড়া দ্রুত চূড়ান্তকরণে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় সেমিনারে।
সেমিনারে সম্প্রতি দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পদক্ষেপ, পূর্বাভাসভিত্তিক সাড়াদান, আগাম প্রস্তুতি, সতর্ক সংকেত বিষয়ে আলোচনা করা হয়।