সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের অর্ধেকেরও বেশি কোনো স্কুলে যায় না। যারা স্কুলে যায় তারা তাদের বয়স অনুপাতে শিক্ষাগতভাবে গড়ে দুই বছরের বেশি পিছিয়ে আছে। ইউনিসেফের সহায়তায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) করা ‘জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ ২০২১’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবন্ধীদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের এটাই বিবিএসের প্রথম জরিপ।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৬৫ শতাংশ শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং মাত্র ৩৫ শতাংশ শিশু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নথিভুক্ত আছে। মোট ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী শিশু আনুষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে। অর্থাৎ তারা কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা বা স্কুলে যায় না।
সমীক্ষাটির ব্যাপারে বিবিএসের প্রকল্প পরিচালক ইফতেখাইরুল করিম বলেন, বিবিএস প্রথমবারের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-সংক্রান্ত একটি জাতীয় জরিপ পরিচালনা করেছে। প্রতিবন্ধী শিশুরা বেড়ে ওঠার সময় কত প্রকার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, তা এ জরিপ থেকে পাওয়া তথ্য তুলে ধরেছে। প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য-উপাত্ত বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য পরিকল্পনা ও উদ্যোগ প্রণয়নে সরকারকে সহায়তা করবে।
জরিপে বলা হয়, বাংলাদেশের ১ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু ‘প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩’-এ সংজ্ঞায়িত ১২ ধরনের প্রতিবন্ধিতার অন্তত একটি প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বেঁচে আছে। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ শিশুর মধ্যে অন্তত একধরনের ‘ফাংশনাল ডিফিকাল্টি’ রয়েছে। ফাংশনাল ডিফিকাল্টির বিভিন্ন ধরনের মধ্যে রয়েছে দেখা, শোনা, আঙুল ব্যবহার করে সূক্ষ্ম কাজ করা, যোগাযোগ, শেখা, খেলা বা আচরণ নিয়ন্ত্রণ।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, বাংলাদেশে প্রতিবন্ধী শিশুদের মধ্যে কতজন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছে নতুন এই তথ্য। এই শিশুদের জন্য আমাদের আরও অনেক কিছু করা প্রয়োজন। আমাদের তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সেবা দিতে হবে এবং এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা উন্নতি করতে পা
প্রতিবন্ধী শিশুরা প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তার ওপরও জরিপে আলোকপাত করা হয়েছে। জরিপে বলা হয়, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা কাজ করার বয়সী তাদের মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কর্মরত যেখানে পুরুষদের তুলনায় নারীদের কাজে নিযুক্ত না থাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি। সরকারিভাবে নিবন্ধিত ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সামাজিক সুরক্ষা হিসেবে ভাতা পান। তবে ৬৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিই অনিবন্ধিত আছেন।
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
এখনও ভারতের কাছে সেই হার তাড়া করে ফিরছে হিলিকে
১
ভুয়া কাগজপত্রে টেন্ডার, পৌরসভায় দুদকের হানা
২
কেন রাজনীতিতে এসেছেন, জানালেন স্নিগ্ধ
৩
ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২
৪
মা হলেন ক্যাটরিনা কাইফ
৫
ঐক্য ও দেশপ্রেমে জাতি সব বাধা অতিক্রম করতে পারে : চসিক মেয়র
৬
জোতার শেষকৃত্যে না যাওয়ার কারণ জানালেন রোনালদো
৭
ওয়ার্ল্ড ভিশনে চাকরির সুযোগ, সপ্তাহে দুদিন ছুটি
৮
অভিনেতা থেকে মুদি দোকানদার দেবের সহ-অভিনেতা সুরজিৎ
৯
শীতে কলা খাওয়া কি ক্ষতিকর
১০
৬ মাসে কোরআনের হাফেজ ১১ বছরের শিশু
১১
বৃষ্টি-কুয়াশাসহ আবহাওয়ার ৫ দিনের পূর্বাভাস
১২
ব্যালন ডি’অরের পর ফিফা বেস্টেও ইয়ামাল-দেম্বেলের লড়াই
১৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশাল নিয়োগ
১৪
প্রীতি ম্যাচের জন্য চমক রেখে আর্জেন্টিনার দল ঘোষণা