ভারতে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে নাসির হুসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এরপর অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি একজন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী এবং পেশায় হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। বোনের স্বামীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে—এমন সন্দেহে বিয়ের ছয় মাসের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করেন নাসির।
আজ মঙ্গলবার পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও দ্য হিন্দু।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার কলকাতার উপকণ্ঠ থেকে সন্দেহভাজন নাসির হুসেনকে গ্রেপ্তার করে বেঙ্গালুরু শহর পুলিশের দক্ষিণ-পূর্ব বিভাগ। শিলিগুড়ির পার্শ্ববর্তী অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করতে ব্যর্থ হওয়ার পর কলকাতায় ফেরার সময় আটক হন তিনি। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে একটি ফ্ল্যাটে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজকে হত্যা করেন নাসির।
ছয় মাস আগে নাজ ও নাসিরের বিয়ে হয় এবং স্ত্রীকে হত্যার ২০ দিন আগে বেঙ্গালুরুর সুভাষনগরে একটি ফ্ল্যাটে ওঠেন তারা। পুলিশ জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি রাতে নাসির হুসেন তার স্ত্রী নাজ খানমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর ১৬ জানুয়ারি এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।
প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, নাসির হুসেনের শিক্ষাগত যোগ্যতা তেমন না থাকলেও দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে দক্ষ একজন হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তিনি। ২০১৪-১৫ সালে তিনি অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে আসেন। পরে তিনি কলকাতা, দিল্লি ও গুরগাঁওয়ে কাজ করেন এবং অ্যাপলের তৈরি গ্যাজেটসহ মোবাইল ও ল্যাপটপ পরিচালনার কাজে দক্ষতা অর্জন করেন।
অভিযুক্ত নাসির পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ১৮ বছর বয়সে অবৈধভাবে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এবং কাজ করার জন্য ও নকল আবাসিক ও শিক্ষাগত সনদ পেতে কলকাতা, মুম্বাই, গুরগাঁও, দিল্লিতে অবস্থান করেন।