সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদেশ সফর জিরো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ সোমবার বিকেলে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল বলেন, স্বঘোষিত সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। তার বিদেশ সফর জিরো। জাপানের সঙ্গে আগে ঠিক হয়েছিল কিছু ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে… সেটি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে তিনি মূলত বিশ্বব্যাংকের একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন। একটি সেমিনারে প্রধানমন্ত্রী গিয়ে বক্তব্য দেন এটি আনলাইকলি। আইএমএফের মুখপাত্র বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইএমএফপ্রধানের একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। যেখানে অর্থনীতি, জলবায়ুসহ কয়েকটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র সফরে প্রধানমন্ত্রীর কী অর্জন তা অনুমেয়। যুক্তরাজ্যেও তিনি গেছেন নতুন রাজার অভিষেক অনুষ্ঠানে। সেখানেও তার কোনো অর্জন আছে বলে মনে করছি না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে এই প্রস্তুতি সভা হয়। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, আব্দুল হাই সিকদার, অধ্যাপক ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জেড খান মো. রিয়াজউদ্দিন নসু ও কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ। সভায় জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উদযাপনে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আমরা ময়ুর সিংহাসনে বসতে অভ্যস্ত নই। আমরা জনগণের কাতারে থেকে জনগণের চেয়ারে বসতে অভ্যস্ত এবং সেটি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে।
ডলার সংকটে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটিই হচ্ছে বাস্তবতা। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানিকারক ব্যবসায়ীরাও পণ্য আমদানি করতে পারছেন না ডলারের অভাবে। এর প্রধান কারণ, রিজার্ভের পরিমাণ এত কমে গেছে যেটি এখন আমদানি পণ্য কেনা সম্ভব হচ্ছে না। কয়েকদিন পরে তো এই সংকট আরও বাড়বে যখন পদ্মা সেতুর টাকা পরিশোধ করতে শুরু হবে। বিমানবন্দরে নতুন তৃতীয় টার্মিনালের ঋণের ১৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে হবে। সেই টাকা কোথা থেকে আসবে? বর্তমানে বাংলাদেশ চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে যা আরও বাড়বে শুধু সময়ের ব্যাপার।
লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিদ্যুৎ খাতে তারা দুর্নীতি করেছেন শুধু তাদের লোকদের উন্নয়নের জন্য। তারা ইনডেমনিটি করেছে। এজন্য এটি নিয়ে কথা বলা যায় না। বিনা টেন্ডারে জিনিসপত্র কিনছে। এখন তারা জনগণের পকেট কাটছে। ব্যবসায়ীদের একটি নির্দিষ্ট চার্জের পরও ২০ ভাগ সারচার্জ দিতে হচ্ছে। যা দেশের উন্নয়নের জন্য বিনিয়োগে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘যেসব দেশ স্যাংশন দেন সেসব দেশ থেকে আমরা কিছু কিনব না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেন, আসলে আমারও বুঝে আসে না এতদিন পরে তিনি কেন স্যাংশন নিয়ে কথা বলছেন। সম্ভবত তিনি রাগান্বিত হয়ে এ ধরনের কথা বলছেন। তিনি ইরিটেটেড।
‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার আগের মতো প্রটোকল পাবেন না’- এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ফখরুল বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। কারণ তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত এবং ইরিটেটেড।