বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (অ্যামট্যাব) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গয়েশ্বর রায় এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রীরা একেক সময় একেক কথা বলে জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উনাদের এত দরদি হওয়ার কিছু নেই। আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। তিনি নিঃশর্ত মুক্তি পাবেন। কারণ, তিনি নির্দোষ। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি দেশে, নাকি বিদেশে চিকিৎসা নেবেন— এটা তার একান্তই নিজস্ব ব্যাপার। আগ বাড়িয়ে আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেসব কথা বলেন, তাতে করে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করার পাঁয়তারা করছেন।’
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তুলে ধরে গয়েশ্বর রায় বলেন, ‘বাজারে গেলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা কোন পর্যায়ে আছে, তা বুঝতে পারা যায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, বিদেশে অর্থ পাচারের কারণে দেশের রিজার্ভ শূন্যের দিকে। সরকারের লুটপাটে তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম সীমাহীন বৃদ্ধিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে নেই। যেভাবে ব্যয় বাড়ছে, সেভাবে মানুষের আয় বাড়ছে না। দিন দিন মানুষ কর্মসংস্থান হারাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটে ক্ষমতায় থাকতেও চায় না, ক্ষমতায় আসতেও চায় না। গত ১৪-১৫ বছর এ সরকার জনগণের ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় আছে। তারা দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণ করেছে, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। এ ভোটারবিহীন জনবিচ্ছিন্ন সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। আমরা মানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, পরে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনসহ ১০ দফা দাবিতে রাজপথে আন্দোলন করছি।’ এ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান গয়েশ্বর।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা জাহানারা বেগম, অ্যামট্যাবের সভাপতি এ কে এম মুসা লিটন, মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।