বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি হলেও সবচেয়ে সস্তা আওয়ামী লীগ। এই একটা লক্ষণ ভালো। কয়েক দিন পরপরই বিদ্যুতের দাম বাড়ে। যতবারই দাম বাড়ে ততবার আওয়ামী লীগের দাম কমে।
তিনি বলেন, দেশটা যদি জনগণের হতো তাহলে হিসাব দিতে হতো। শেখ হাসিনার দুটো ভালো নীতি আছে। শেখ হাসিনার দুই নীতি ‘ভোট চুরি আর দুর্নীতি’।
আজ শনিবার বিকেলে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরেরখানপুর এলাকায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটু, সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি প্রমুখ।
গয়েশ্বর আরও বলেন, বিদ্যুতের দাম কেন বাড়ে। আমাদের স্বপ্ন দেখিয়েছিল ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেবে। কুইক রেন্টাল যারা পেয়েছে সবাই আওয়ামী লীগের। বাইরের কেউ পায়নি। এই কুইক রেন্টাল দিয়েছে যেটার ক্ষমতা পনেরো, সেটাকে দিয়েছে বিশ মেগাওয়াট; সাত মেগাওয়াটে দিয়েছে দশ মেগাওয়াট। কেন, তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন না করলেও তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হবে। এভাবে গত দশ বছরে ৬০ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগের আত্মীয়স্বজনরা।
Link a Story
আ.লীগের নীতি হলো ভোট চুরি, অর্থপাচার ও দুর্নীতি : ফখরুল
তিনি বলেন, জিনিসের দাম বেশি, তাই কম খান, তার নাম ফারুক খান। তিনি যুদ্ধ করেননি। আবার মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট চেয়েছেন। ১২ বছরে ১১ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছেন। এ টাকাগুলো গেল কোথায়।
তিনি বলেন, সুইস ব্যাংকে এক বছরে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে কথা উঠল পার্লামেন্টে। তখন অর্থমন্ত্রী বলল সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোনো টাকা হলো?
২০০৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের এমপিদের টাকার হিসাব প্রকাশ করার দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।