কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ মে ২০২৩, ০৯:০০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল এবি পার্টি

মার্কিন ভিসা নীতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাল এবি পার্টি
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে তা নিয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি) আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ও মতামত জানিয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, যদিও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর এ রকম ভিসা নীতি আমাদের দেশের জন্য অবমাননাকর। কারণ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচন হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা এমন এক মৌলিক অধিকার যা পেতে আমাদের দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলো বারবার বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছিল। ঘোষিত এই ভিসা নীতি তারই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিধ্বনি বলে আমরা ধারণা করছি। এবি পার্টির শীর্ষ দুই নেতা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতিতে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, সরকার সমর্থক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। এই নীতি অনুসৃত হলে দীর্ঘমেয়াদে নির্বাচনী সংস্কৃতিতে একটা পরিবর্তন আসতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নেতারা বলেন, কারা গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশে এই অপকর্ম করছে, সেই তথ্য ও প্রমাণ দেশের সীমানা পেরিয়ে আজ দুনিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। এসব কিছু গণতান্ত্রিক বিশ্ব জেনে গেছে এবং তারা এখন ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে। যারই অংশ হিসেবে তারা নানান নিয়ম-নীতি, বিধি-বিধান ও নিষেধাজ্ঞা প্রণয়ন ও জারি করছে। এবি পার্টি বিশ্বাস করে, অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনমত প্রকাশ ও ক্ষমতা হস্তান্তরের সাংবিধানিক কাঠামোকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে তা বলবৎ রেখে বিদ্যমান কাঠামোয় শান্তিপূর্ণ উপায়ে ভোটগ্রহণ এবং জাতীয় নির্বাচনে জনগণের স্বাধীন মতামত প্রকাশের পরিবেশ তৈরি সম্ভব নয়। বাংলাদেশের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মৌলিক মানবাধিকার, মতপ্রকাশ ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার এই সংগ্রামের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন জোগাতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিপ্রায়কে দেশবাসী ইতিবাচক ও উৎসাহব্যাঞ্জক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করে বলে আমরা মনে করি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ন্যাশনাল পিপলস যুব পার্টির শোক  

খালেদা জিয়ার ইন্তেকালে ৩৪তম বিসিএস অল ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের শোক

বেগম খালেদা জিয়া : বিদায় হে আপসহীন দেশনেত্রী

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ডিক্যাবের শোক

কর্মসূচি স্থগিত করে নতুন ঘোষণা ইনকিলাব মঞ্চের

মানিক মিয়া অ্যাভিনিউজুড়ে জানাজা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি 

খালেদা জিয়ার রুহের মাগফিরাতে নিউমার্কেট বিএনপির দোয়া

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমানের পদত্যাগ

গণতন্ত্র হারাল এক অভিভাবক, জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি : এবিএম ওবায়দুল

১০

প্রকৌশল খাতে খালেদা জিয়ার অবদান অনস্বীকার্য : আইইবি

১১

রুমিন ফারহানাসহ যে ৯ জনকে বহিষ্কার করল বিএনপি

১২

খালেদা জিয়ার জানাজা উপলক্ষে যেসব সড়ক বন্ধ থাকবে 

১৩

বেগম খালেদা জিয়ার জানাজায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে যা জানা গেল

১৪

বহিষ্কারের পর নির্বাচন করার ঘোষণা ১ বিএনপি নেতার

১৫

ইজতেমার ময়দানে সমাবেশ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল সরকার

১৬

রাস্তায় ফেলে যাওয়া ২ শিশুর দায়িত্ব নিলেন জেলা প্রশাসক

১৭

খালেদা জিয়ার মৃত্যু / ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণায় স্থগিত হলো যেসব পরীক্ষা

১৮

বিএনপি নেতার প্রার্থিতা গ্রহণ না করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ব্যাংকের চিঠি

১৯

খালেদা জিয়ার ‘মাতৃস্নেহ’ নিয়ে অধ্যাপক জাহিদের স্মৃতিচারণা

২০
X