বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আরাফাত রহমান কোকোকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি একজন সাধারণ ক্রীড়াবিদ ছিলেন। কিন্তু তাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। দলের নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সকালে বনানী কবরস্থানে আসেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ দেশে রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় ১/১১ ঘটনার পরে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিথ্যা মামলায় মিথ্যা অজুহাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আরাফাত রহমান কোকো একজন অসাধারণ ক্রীড়া সংগঠক ছিলেন।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সবচেয়ে আদরের ছেলে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। আমরা দেখেছি, কী করুণ অবস্থায় তাকে (কোকো) মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে! বিদেশের মাটিতে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়েছে।’
‘এই পরিবার (জিয়া) এ দেশের মানুষের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই পরিবার এ দেশের গণতন্ত্রের প্রতীক। আমরা আরাফাত রহমান কোকোর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন, সেই কামনা করছি’—বলেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘আমরা আজ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি, সংগ্রাম করছি। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে বন্দি রয়েছে। এই চলমান আন্দোলনে আমাদের প্রায় ১৫ নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমরা সফল হব, জয়ী হব এবং এই দানবীয় সরকারকে পরাজিত করে আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করব।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, মীর সরাফত আলী সপু, নাজিমুদ্দিন আলম, নবী উল্লাহ নবী, আব্দুল আলিম নকি, যুবদলের মামুন হাসান, আব্দুল মোনায়েম মুন্নাসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।