সম্পাদক ও প্রকাশক : সন্তোষ শর্মা । বিভাগীয় প্রধান (অনলাইন): পলাশ মাহমুদ
কালবেলা মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে প্রকাশক কর্তৃক নিউমার্কেট সিটি কমপ্লেক্স, ৪৪/১, রহিম স্কয়ার, নিউমার্কেট, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং ২৮/বি, টয়েনবি সার্কুলার রোড, মতিঝিল ঢাকা, শরীয়তপুর প্রিন্টিং প্রেস থেকে মুদ্রিত।
দলীয় কার্যালয়ে অভিযান, সংঘর্ষ ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার সত্ত্বেও ঢাকার সমাবেশে অনড় বিএনপি। এ ক্ষেত্রে কৌশলে পরিবর্তন আনবে তারা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গতকাল বুধবার রাতে স্থায়ী কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কমিটি মনে করছে, দমন-পীড়নের মুখে সমাবেশের সিদ্ধান্ত থেকে এখন সরে এলে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মনোবল ভেঙে যাবে। এমনটা হলে আগামীর কর্মসূচি সফল করা যাবে না। তবে পুলিশ স্পষ্ট জানিয়েছে, নয়াপল্টনে বিএনপিকে কোনো অবস্থাতেই সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এ ধরনের চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি মনে করছে, সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এই সংঘর্ষ সৃষ্টি করা হয়েছে।
এদিকে দলীয় কার্যালয়ে অভিযান, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও আহত করার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী মহানগর ও জেলা পর্যায়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত এই সিদ্ধান্ত গত রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
Link a Story
বৃহস্পতিবার সারা দেশে বিক্ষোভ করবে বিএনপি
পুলিশের অভিযানের মধ্যে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে না পেরে গতকাল বিকেল ৫টার দিকে নয়াপল্টনে কার্যালয়ের সামনের ফুটপাতে বসে পড়েন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ কি করা সম্ভব—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ কেন্দ্র করেই তো এগুলো হচ্ছে। তারা সমাবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে। সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ তারিখ আমরা সমাবেশ যেন শান্তিপূর্ণভাবে করতে পারি সে পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকার গণসমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়কারী ও বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ গতকাল রাত সোয়া ৮টার দিকে কালবেলাকে বলেন, আমরা এখনো সমাবেশ বাতিল করিনি। দেখি না কী হয়। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি।
নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা ভয়াবহ, ভীতিকর ও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা আশা করতে পারি না, একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ের সামনে এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।’ তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে সেখান থেকে পুলিশ প্রত্যাহারের দাবি জানান। বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্যথায় সব দায়দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তাবে।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাকে আমার কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ পুলিশ, বোম ডিসপোজাল ইউনিটের লোকজন ঢুকছে, বের হচ্ছে। আমরা সন্দেহ করছি, তারা ভেতরে বোমা জাতীয় কিছু রেখে এর দায় আমাদের ওপর চাপাবে।’ বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান প্রসঙ্গে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে যেভাবে রেইড হলো সেটা আগেরটার সেইম কেস। আগে যারা অভিযানে ছিলেন আজকেও তাদের দেখা গেছে। সেই গ্রুপই ছিল।’
Link a Story
বিএনপির দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বে প্রিন্স
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
সর্বশেষ
জনপ্রিয়
চট্টগ্রামে ঘোষিত প্রার্থীর বিরোধিতা করায় পদ হারালেন ৩ নেতা
১
রিজভীর পা ধরে সালাম করা সেই সার্জেন্টকে প্রত্যাহার
২
স্ত্রী-শাশুড়িসহ চারজনকে ছুরিকাঘাত, জামাইসহ আটক ২
৩
বিড়াল হত্যাকারী সেই নারী গ্রেপ্তার
৪
সাতক্ষীরায় ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে হবে : হাবিব
৫
‘পরিস্থিতির শিকার হয়ে বাচ্চা রেখে গেলাম, দয়া করে কেউ নিয়ে যাবেন’
৬
ভিয়েতনামে সড়কে ঝরল বাংলাদেশির প্রাণ
৭
নতুন বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই ব্যবসা চলবে না : সাদিক কায়েম
৮
নির্বাচনবিরোধীদের ৭ নভেম্বরের চেতনায় পরাজিত করতে হবে : আমীর খসরু
৯
সাইবার অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু : ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব
১০
বিপ্লব ও সংহতি দিবস / নারায়ণগঞ্জে মাসুদুজ্জামান মাসুদের পক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি
১১
বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের প্রশংসা করলেন মালদ্বীপের ফার্স্ট লেডি
১২
শিবিরের উদ্যোগে জবিতে ‘কাওয়ালি সন্ধ্যা’
১৩
মেহেরপুরে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে প্রথম মামলা, আসামি ১৯